ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২

আদালতে ঝুলছে শেখ হাসিনার ভবিষ্যৎ: সম্ভাব্য শাস্তি কী?

২০২৫ নভেম্বর ১৪ ১৭:১৮:৩০

আদালতে ঝুলছে শেখ হাসিনার ভবিষ্যৎ: সম্ভাব্য শাস্তি কী?

নিজস্ব প্রতিবেদক :গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য বাংলাদেশে ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। এটি ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনালস) অ্যাক্ট, ১৯৭৩’ আইন অনুযায়ী পরিচালিত হয়, যেখানে আসামিদের গ্রেফতার, বিচার ও সাজা দেয়ার বিধান রয়েছে। সময়ের সঙ্গে এই আইনে বিভিন্ন সংশোধনী আনা হয়েছে, যার ফলে কিছু ধারা সংযোজন ও বিয়োজন করা হয়েছে।

আইনের ২০ ধারায় বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত বা নির্দোষ প্রমাণিত হলে তা ট্রাইব্যুনালের রায়ে উল্লেখ করতে হবে। অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী ট্রাইব্যুনাল সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন বা অন্যান্য মেয়াদের কারাদণ্ড দিতে পারে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামীম জানিয়েছেন, আসামির অপরাধের গভীরতার ওপর ভিত্তি করে বিচারকরা শাস্তি নির্ধারণ করবেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে আইন সংশোধনের মাধ্যমে আসামির সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার বিধান যোগ করা হয়েছে। এর ফলে মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে ট্রাইব্যুনাল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে ক্ষতিগ্রস্ত বা ভুক্তভোগী পরিবারকে দিতে পারবে। এছাড়া রাজনৈতিক দল, অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিচার এবং তাদের কার্যক্রম স্থগিত বা নিষিদ্ধ করার ক্ষমতাও ট্রাইব্যুনালকে দেওয়া হয়েছে।

আইনের সংজ্ঞা অনুযায়ী, ‘সংগঠন’ বলতে রাজনৈতিক দলসহ তার অধীনস্থ, সম্পর্কিত বা সংশ্লিষ্ট কোনো সংগঠন বা গোষ্ঠী বোঝানো হয়েছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ও তাদের সহযোগী রাজাকারদের প্রতি জনগণের ওপর চালানো নৃশংসতার বিচার করতে এই আইন প্রণয়ন করা হয়। এটি বিশ্বে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রণীত প্রথম যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত আইন হিসেবে রোম সনদের পূর্বেই প্রণীত হয়েছিল।

গণঅভ্যুত্থানের পর ২০২২ সালে এই আইন সংশোধন ও ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়েছে, যার ফলে বিচার প্রক্রিয়া আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করা হয়েছে। সংশোধিত আইন অনুসারে, ট্রাইব্যুনাল আসামির অপরাধের প্রকৃতি অনুযায়ী সঠিক শাস্তি এবং সম্পদ বাজেয়াপ্তি, কার্যক্রম স্থগিত বা সংগঠন নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা রাখে।

ডুয়া/নয়ন

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত