ঢাকা-১০ আসনটির মধ্যে ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, কলাবাগান ও হাজারীবাগ থানাগুলো অন্তর্ভুক্ত। বিএনপি এখনও এই আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেনি, তবে জামায়াতে ইসলামী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জসীম উদ্দিন সরকারকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে। এর আগে আসিফ মাহমুদ কুমিল্লা-৩ আসনের ভোটার ছিলেন। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে আসন সমঝোতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছিল এবং গুঞ্জন ওঠে যে, যদি বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা হয়, তিনি সরকারি পদ থেকে পদত্যাগ করে ঢাকা-১০ আসনে নির্বাচন করতে পারেন। বিএনপির প্রার্থী না ঘোষণায় এই গুঞ্জন আরও জোরালো হয়েছে।
ছাত্রজীবনে আসিফ মাহমুদ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখসারির সমন্বয়ক ছিলেন। আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি এবং ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি সংশোধনের বিষয় তিনি ফেসবুকে ঘোষণা করেছিলেন। পরবর্তীতে গত বছরের ৮ আগস্ট গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে তিনি স্থান পান।
শিক্ষাজীবনে আসিফ মাহমুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক শেষ করেছেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ছাত্র অধিকার পরিষদের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন এবং ২০২৩ সালে নতুন ছাত্রসংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি গঠনে তিনি অন্যতম উদ্যোক্তা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক ছিলেন। বর্তমানে তিনি স্থানীয় সরকার ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্সে স্নাতকোত্তর করছেন।
ডুয়া/নয়ন