ঢাকা, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২
মিউচুয়াল ফান্ডের জন্য আসছে বাধ্যতামূলক লিকুইডেশন

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত অধিকাংশ ক্লোজড-এন্ড মিউচুয়াল ফান্ডের (এমএফ) বাজার মূল্য নিট অ্যাসেট ভ্যালু (এনএভি) থেকে অনেক নিচে লেনদেন হচ্ছে, যা নির্দেশ করে যে "তাদের পারফরম্যান্স আশানুরূপ নয়"। এই পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) একটি গুরুত্বপূর্ণ খসড়া সংশোধনী প্রকাশ করেছে।
বিএসইসি প্রস্তাব করেছে, কোনো ক্লোজড-এন্ড মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট যদি তারি এনএভি থেকে ২৫ শতাংশের বেশি ডিসকাউন্টে লেনদেন হয়, তবে সেগুলোর মেয়াদপূর্তির আগেই বাধ্যতামূলকভাবে লিকুইডেশন (অবসায়ন) বা ওপেন-এন্ড ফান্ডে রূপান্তর করতে হবে।
এই নতুন সংশোধনীটি বিশেষভাবে ২০১৮ সালে তহবিলের মেয়াদ বাড়ানোয় আটকে থাকা বিনিয়োগকারীদের তাদের বিনিয়োগ তুলে নিতে সাহায্য করবে। চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে এই খসড়া সংশোধনীর ওপর জনমত চাওয়া হয়েছে এবং একই সঙ্গে বিএসইসি নতুন কোনো ক্লোজড-এন্ড ফান্ড চালু করার অনুমতি না দেওয়ারও প্রস্তাব করেছে।
খসড়া অনুযায়ী, যদি ছয় মাস ধরে কোনো বিদ্যমান ফান্ডের ইউনিটের গড় লেনদেন মূল্য তার গড় এনএভি (ক্রয় মূল্য বা ন্যায্য মূল্যের মধ্যে যেটি বেশি) থেকে ২৫ শতাংশের বেশি নিচে থাকে, তবে গেজেট প্রকাশের ছয় মাস পর সেই ফান্ডটি বাধ্যতামূলক লিকুইডেশন বা রূপান্তরের অধীন হবে। তখন ট্রাস্টিকে ইজিএম (ইজিএম) আহ্বান করতে হবে, যেখানে ইউনিটহোল্ডারদের ভোটের তিন-চতুর্থাংশের সমর্থনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বিএসইসি-এর মুখপাত্র মো. আবুল কালাম বলেন, বেশিরভাগ ফান্ডের বাজার মূল্য এনএভি থেকে অনেক নিচে, যার অর্থ "তাদের পারফরম্যান্স আশানুরূপ নয়"; তাই অ-পারফর্মিং ফান্ডকে ওপেন-এন্ড ফান্ডে রূপান্তর করা হলে বিনিয়োগকারীরা যেকোনো সময় তাদের বিনিয়োগ তুলে নেওয়ার সুযোগ পাবেন।
সংশোধনীটি কার্যকর হলে, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিগুলো (এএমসি) আর মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর সম্পদ এবং ক্যাশ ফান্ড পরিচালনা করতে পারবে না; কাস্টোডিয়ানরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। কাস্টোডিয়ান হতে হলে ন্যূনতম ২ বিলিয়ন টাকা পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে এবং তাদের আগ্রহ বাড়াতে কাস্টোডিয়ান ফি বিদ্যমান ০.১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ০.৫০ শতাংশ পর্যন্ত করার প্রস্তাব করেছে বিএসইসি।
বিনিয়োগকারীদের অর্থের অপব্যবহার রোধ করতে নতুন বিধিতে মিউচুয়াল ফান্ডগুলোকে কেবলমাত্র তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ এবং সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়া হবে এবং কোনো ক্যাটাগরিতেই কোনো ঊর্ধ্বসীমা থাকবে না।
এ বিষয়ে বিএসইসি-এর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, কিছু ফান্ড ম্যানেজার বিনিয়োগকারীদের অর্থকে "তাদের উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি" হিসেবে গণ্য করায় নিয়ন্ত্রককে এই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে।
মূলত এই প্রেক্ষাপটেই ৩৭টি তালিকাভুক্ত ক্লোজড-এন্ড ফান্ডের অধিকাংশই অভিহিত মূল্যের চেয়ে অনেক নিচে লেনদেন হচ্ছে। বিএসইসি কর্মকর্তারা আশা করছেন, এই সংশোধনীটি অনুমোদিত হলে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ফান্ডগুলো একটি নিয়মতান্ত্রিক লিকুইডেশন বা রূপান্তর প্রক্রিয়ার অধীনে আসবে, যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আগে বিনিয়োগকারীদের অন্তত তাদের বিনিয়োগের কিছু অংশ পুনরুদ্ধারের সুযোগ দেবে।
এএসএম/
শেয়ারবাজারের বিশ্লেষণ ও ইনসাইড স্টোরি পেতে আমাদের পেজ ফলো করুন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, খেলাটি সরাসরি দেখুন (LIVE)
- ৪০ বছরের ইতিহাসে ডিভিডেন্ডে নজির ভাঙল এপেক্স ট্যানারি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণায় রেকর্ড ভাঙ্গল লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স!
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে মুন্নু এগ্রো
- শেয়ারবাজারে হাহাকার, ৮ দিনে ৪২ হাজার কোটি টাকা গায়েব!
- একদিনে 'এ' ক্যাটাগরিতে ফিরল দুই কোম্পানি
- বস্ত্র খাতের ৮ কোম্পানিতে বেড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ১৭ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- মার্জিন ঋণ আতঙ্কে হঠাৎ ধস নামলো শেয়ারবাজারে!
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে বিএসআরএম লিমিটেড
- পতন তান্ডবে শেয়ারবাজারে ছোটদের কফিনেও বড় পেরেক!
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে তালিকাভুক্ত ৪ কোম্পানি
- শেয়ারবাজার স্থিতিশীল রাখতে এক হাজার কোটি টাকা পাচ্ছে আইসিবি
- ১৪ অক্টোবর: এক নজরে শেয়ারবাজারের ২০ খবর
- ইপিএস প্রকাশ করেছে ৮ কোম্পানি