ঢাকা, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২
ভূমি আইন: অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ৩ আশ্বিন, ১৪৩০/১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখে গৃহীত ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩ রাষ্ট্রপতির সম্মতিলাভের পর (১৮ সেপ্টেম্বর) সর্বসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হয়েছে। সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং নাগরিকের মালিকানাধীন ভূমিতে দখল ও অধিকার নিশ্চিতকরণ, ভূমি বিরোধ দ্রুত নিরসন এবং ভূমি সম্পর্কিত অপরাধ প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে এই আইন প্রণীত হয়েছে।
আইন অনুসারে, ভূমি হস্তান্তর, জরিপ, রেকর্ড হালনাগাদকরণ বা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত ভূমি প্রতারণা ও জালিয়াতি সংক্রান্ত কার্যক্রম অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। অপরাধ সংঘটিত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
আইনের গুরুত্বপূর্ণ বিধানসমূহের মধ্যে রয়েছে:
অবৈধ দখল প্রতিরোধ ও দখল পুনরুদ্ধার: আইনানুগ অধিকারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে তার ভূমি থেকে অবৈধ উচ্ছেদ থেকে রক্ষা করা হবে এবং প্রয়োজনমতো এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দখল পুনর্বহাল করার আদেশ দিতে পারবেন।
দখল হস্তান্তর ও ভূমি ক্ষতিসাধন: ভূমি বিক্রয়ের জন্য সম্পূর্ণ অর্থ প্রদান সত্ত্বেও যদি বিক্রেতা দখল হস্তান্তর না করেন, তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এছাড়া, অন্যের ভূমি বা সীমানা ক্ষতিসাধন, সরকারি/আধা-সরকারি ভূমি দখল বা পরিবর্তন, অবৈধ ভরাট ও মাটির উপরি-স্তর কর্তনও ২ বছর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের অধীনে আসবে।
অপরাধে সহায়তা ও পুনঃসংঘটন: অন্যের সহায়তা বা প্ররোচনায় অপরাধ সংঘটন করলে, অপরাধীর সমপরিমাণ দণ্ড প্রদান করা হবে। একই অপরাধ পুনরায় সংঘটিত হলে, দণ্ড দ্বিগুণ হবে।
কোম্পানি কর্তৃক অপরাধ: কোনো কোম্পানি বা ফার্মের মাধ্যমে অপরাধ সংঘটিত হলে, মালিক, পরিচালক বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হবেন।
সাক্ষীর সুরক্ষা ও ক্ষতিপূরণ: বিচারাধীন মামলার বাদী বা সাক্ষীকে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা প্রদান করা হবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা সংস্থার জন্য ফৌজদারি আদালত উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ আদায় নিশ্চিত করবে।
মোবাইল কোর্ট ও ডাটাবেজ: কিছু অপরাধ মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর আওতায় বিচার্য হবে। সরকার আন্তঃব্যবহারযোগ্য সমন্বিত ডাটাবেজ তৈরি করবে, যাতে সরকারি ও বেসরকারি ভূমি সম্পর্কিত তথ্য যাচাই ও সংরক্ষণ সহজ হবে।
আইন প্রণয়নের ক্ষমতা সরকারের হাতে রাখা হয়েছে। এছাড়া, সরকার প্রয়োজনমতো বিধি প্রণয়ন বা আদেশের মাধ্যমে আইন কার্যকর করতে পারবে। সরকারি গেজেটে প্রকাশিত বাংলা পাঠের ইংরেজি অনুবাদও প্রস্তুত করা হবে, যেখানে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠই প্রাধান্য পাবে।
সিনিয়র সচিব কে. এম. আব্দুস সালাম এই আইন প্রবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান, সরাসরি দেখবেন যেভাবে
- বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ড, সরাসরি দেখবেন যেভাবে
- শেয়ারবাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিএসইসি চেয়ারম্যানের যুগান্তকারী ঘোষণা
- ‘জেড’ থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফিরেছে তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- আফগানিস্তান বনাম বাংলাদেশ, সরাসরি দেখবেন যেভাবে
- ডুবছে ওষুধের দুই কোম্পানি, বিনিয়োকারীদের কপালে চিন্তার ভাজ
- সাত কোম্পানির শেয়ারে কারসাজির গন্ধ!
- RSI এলার্ট: ১০ শেয়ারে বিপদ সংকেত
- শেয়ারবাজারের কোম্পানিতে কারসাজির গন্ধ! তদন্তে নেমেছে বিএসইসি
- ঢাবি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে জাপান, আবেদন করবেন যেভাবে
- উৎপাদন বন্ধ চার কোম্পানির শেয়ার নিয়ে সতর্কতা জারি
- জেডে নেমে তিন শেয়ারের ধস, বিনিয়োগকারীদের নিঃস্ব হওয়ার শঙ্কা
- মশিউর সিকিউরিটিজের গ্রাহকদের জন্য জরুরি নির্দেশনা
- বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় বিএসইসির বড় পদক্ষেপ, আসছে নতুন নিয়ম
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে ২ কোম্পানি