ঢাকা, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২

ফের উল্টে গেল ইসলামী ব্যাংকের সেই ৫ শেয়ার

২০২৫ অক্টোবর ০৮ ১৯:৪২:১৭

ফের উল্টে গেল ইসলামী ব্যাংকের সেই ৫ শেয়ার

আবু তাহের নয়ন:একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়ায় থাকা দেশের পাঁচ ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারদর ফের বড় পতনে পড়েছে। ছয় কার্যদিবস টানা বেড়ে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও বুধবার (০৮ অক্টোবর) আবারও বড় দরপতনের মুখে পড়ে ব্যাংকগুলোর শেয়ার।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, এদিন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল), এক্সিম ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক এবং ইউনিয়ন ব্যাংকের শেয়ারদর লেনদেন শুরুর দামের তুলনায় ৯ শতাংশ থেকে ১৫.৬৮ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে।

এই পাঁচ ব্যাংককে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিতর্কিত ব্যবসায়ী এস আলম ও নজরুল ইসলাম মজুমদারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করতে ‘ব্যাংক রেজুলেশন অর্ডিন্যান্স ২০২৫’ জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মাধ্যমে এই ব্যাংকগুলোকে একীভূত করার বিশেষ বিধান তৈরি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইতিমধ্যেই এ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিয়েছে। একীভূত হওয়ার পর নতুন ব্যাংকটির মালিকানা সরকারের কাছে যাবে। এ জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারদর সর্বোচ্চ ১৩ টাকা ৭০ পয়সায় পৌঁছায়। এরপর ধারাবাহিক দরপতনে ২৩ সেপ্টেম্বর এসে তা ৩ টাকায় নেমে যায়। কিন্তু গত সপ্তাহে দফায় দফায় দাম বাড়তে শুরু করে। ৭ অক্টোবর প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে ৫ টাকা ৭০ পয়সায় উঠে আসে।

তবে বুধবার দিনের শেষে আবার পরিস্থিতি বদলে যায়। লেনদেন শুরুর সময় এসআইবিএলের শেয়ার ছিল ৬ টাকা ১০ পয়সা, যা শুরুর দামের তুলনায় ৪০ পয়সা বেশি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দাম নেমে আসে ৫ টাকা ২০ পয়সায়— অর্থাৎ দিনের শুরুর তুলনায় ১৪.৭৫ শতাংশ দরপতন।

রেকর্ড দরপতনের পর কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানো অন্যান্য ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারও বুধবার আবার নিম্নমুখী হয়েছে। সবচেয়ে বেশি দরপতন হয়েছে এক্সিম ব্যাংকের শেয়ারে। দিনের শুরুতে ব্যাংকটির শেয়ার ছিল ৫ টাকা ১০ পয়সা, কিন্তু দিনের শেষে তা নেমে যায় ৪ টাকা ৩০ পয়সায়—শুরুর তুলনায় দরপতন ১৫.৬৮ শতাংশ।

এর আগে গত বছরের ১১ আগস্ট ব্যাংকটির শেয়ার দাম সর্বোচ্চ ১১ টাকায় ছিল। কিন্তু একের পর এক দরপতনে ২৩ সেপ্টেম্বর তা ২ টাকা ৮০ পয়সায় নেমে আসে। পরে কয়েক কার্যদিবস টানা বেড়ে মঙ্গলবার প্রতিটি শেয়ার ৪ টাকা ৭০ পয়সায় উঠেছিল। কিন্তু বুধবারের লেনদেনেই আবার সব উল্টে যায়।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, একীভূতকরণ প্রক্রিয়াকে ঘিরে কিছুদিনের জন্য বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়লেও এখন আবার অনিশ্চয়তা বেড়েছে। সরকারের হাতে মালিকানা যাওয়ার পর এই ব্যাংকগুলোর ভবিষ্যৎ কাঠামো ও লাভজনকতা কীভাবে প্রভাবিত হবে—সেই প্রশ্নেই নতুন করে চাপ তৈরি হয়েছে বাজারে।

এএসএম/

শেয়ারবাজারের বিশ্লেষণ ও ইনসাইড স্টোরি পেতে আমাদের পেজ ফলো করুন।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত