ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫, ২২ আশ্বিন ১৪৩২

অর্থনীতি দৃঢ়, তবে সময়োপযোগী সংস্কার জরুরি: বিশ্বব্যাংক

২০২৫ অক্টোবর ০৭ ১৬:২২:২৭

অর্থনীতি দৃঢ়, তবে সময়োপযোগী সংস্কার জরুরি: বিশ্বব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি অর্থবছর মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) কিছুটা বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে দেশের জিডিপি ৪.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। এর আগের অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৪ শতাংশ। ২০২৬-২৭ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি আরও বেড়ে ৬.৩ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের অফিসে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’-এ এই তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে বাংলাদেশের সময়োপযোগী সংস্কারের প্রয়োজন। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে কিছু অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও দেশের অর্থনীতি দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। রপ্তানি বৃদ্ধি, রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ায় অর্থনীতিতে ইতিবাচক গতি এসেছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

সংস্থাটি আশা করছে, মধ্যমেয়াদে প্রবৃদ্ধির ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় থাকবে। তবে দীর্ঘমেয়াদী স্থায়ী প্রবৃদ্ধি এবং বিশেষ করে তরুণ ও নারীদের জন্য কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে প্রয়োজন কার্যকর সংস্কার।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বৈদেশিক চাপ ও আর্থিক ঝুঁকি এখনও রয়ে গেছে। বাজারভিত্তিক বিনিময় হার চালু হলেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চাপের মধ্যে রয়েছে। খাদ্য ও জ্বালানির মূল্যস্ফীতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও আর্থিক ঘাটতি বেড়েছে এবং কর রাজস্ব দুর্বল অবস্থায় আছে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে এবং শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ ৬৯ শতাংশ থেকে কমে ৫৮.৯ শতাংশে নেমেছে। নতুন কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রায় ২৪ লাখ নারী শ্রমবাজারের বাইরে রয়েছেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেম বলেন, অর্থনীতি দৃঢ়তা দেখিয়েছে, তবে এই স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে প্রয়োজন সময়োপযোগী সংস্কার। রাজস্ব বৃদ্ধি, জ্বালানি ভর্তুকি হ্রাস, নগরায়ন ও বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করার পাশাপাশি আরও বেশি ও ভালো কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে।

কেএমএ

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত