ঢাকা, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২

বিগত সরকারের সময় মানবাধিকার কমিশন ছিল মেরুদণ্ডহীন: দেবপ্রিয়

২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৭ ১৯:৫১:৪৯

বিগত সরকারের সময় মানবাধিকার কমিশন ছিল মেরুদণ্ডহীন: দেবপ্রিয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর সম্মানিত ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, বিগত সরকারের সময় গঠিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কার্যত নখদন্তহীন ও মেরুদণ্ডহীন ছিল। এমন কোনো কমিশন তার পুনরাবৃত্তি নয়, বরং নতুন কমিশনকে অবশ্যই সবপক্ষের অধিকার ও কথা প্রতিফলিত করার মতো শক্তিশালী হতে হবে।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর লেকশোর হোটেলে খসড়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ-২০২৫ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি স্মরণ করান, ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে ড. ফখরুউদ্দিন সরকারের সময়ে মানবাধিকার কমিশন গঠনের খসড়া আইন তৈরি হয়। এরপর পরবর্তী সরকার ওই আইন অনুমোদন দিয়ে কমিশন গঠন করেন এবং চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য সদস্য নিয়োগ করা হয়। ২০২৪ সালের ৭ নভেম্বর প্রফেসর ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কমিশন বাতিল করার পর এক বছর ধরে বাংলাদেশে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কার্যকর ছিল না। তবে এ সময়ে অন্যান্য কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং মানবাধিকার আইন প্রণয়নের কাজ চালু ছিল।

দেবপ্রিয় বলেন, বিগত সময়ে কমিশনের কার্যক্রম দেখে প্রশ্ন থেকে যায় মানবাধিকার কি বাস্তবভাবে উন্নত হয়েছে? নতুন খসড়া আইন কি সত্যিকার অর্থে পিছিয়ে থাকা মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে পারবে? আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমরা নখদন্তহীন কোনো কমিশন চাই না। এমন কমিশন চাই, যা কার্যকরভাবে মানবাধিকার রক্ষা করতে সক্ষম।

তিনি আরও বলেন, মেরুদণ্ডহীন মানুষের উপর কমিশনের দায়িত্ব দেওয়া অর্থহীন। সৎ, নীতিবান ও সাহসী মানুষই কমিশনে বসতে পারে, যারা সরকারের সঙ্গে সমানভাবে লড়াই করতে সক্ষম।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া খসড়া আইন নিয়ে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকার কার্যক্রমের বাস্তবায়ন ভালো হয়নি। নতুন খসড়া আইনেও কিছু বিষয় উপেক্ষিত। বিশেষ করে দ্বৈত নাগরিকত্ব বিষয়টি বাদ দেওয়া হয়েছে। আইন অনুযায়ী এখন দ্বৈত নাগরিকদের কমিশনে নিয়োগে বাধা নেই, যা কিছু প্রশ্ন তুলছে।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত