ঢাকা, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২
জমির দলিল জাল কিনা চেনার কিছু সহজ কৌশল
.jpg)
নিজস্ব প্রকিবেদক: দেশে জমি বেচা-কেনা এখন কেবল বিনিয়োগ বা ব্যক্তিগত প্রয়োজন সীমিত নেই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক ও আইনি সিদ্ধান্তে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে শহরের জমি ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে অনেকে জাল দলিল বা অস্পষ্ট তথ্যের জাল ফাঁদে পড়ছেন।
একটি ছোটখাটো ভুল দলিলও ভবিষ্যতে বড় ধরনের দখল বিরোধ, নামজারি বাতিল বা আদালতের ঝামেলার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই জমি কেনার আগে দলিল যাচাই করা কেবল প্রয়োজন নয় এটি নিশ্চিত করে আপনার বিনিয়োগ সুরক্ষিত, আইনি ঝুঁকি থেকে মুক্ত এবং সম্পত্তির মালিকানা বৈধ।
তবে আসুন জাল দলিল চেনার ১০টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিই-
১) মূল কপি যাচাই করুন:
দলিলের প্রতিটি পাতায় সাব-রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষর ও সরকারি সিল সঠিকভাবে বসানো আছে কিনা দেখুন। কপি বা অনুলিপি কেবল তথ্যের জন্য গ্রহণযোগ্য, বৈধ দলিলের মূল কপি সবসময় যাচাই করতে হবে।
২) মালিকের তথ্য মিলিয়ে নিন:
দলিলে যে মালিকের নাম, ঠিকানা, খতিয়ান ও দাগ নম্বর উল্লেখ আছে, তা ভূমি অফিস বা অনলাইন রেকর্ডের সঙ্গে মিলিয়ে নিন। অসঙ্গতি থাকলে ক্রয় করা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
৩) মৌজা, উপজেলা ও জেলার তথ্য নিশ্চিত করুন:
জমির প্রকৃত অবস্থান এবং প্রশাসনিক ইউনিট যাচাই করা জরুরি। ভুল মৌজা বা উপজেলা থাকলে পরে মালিকানার বিরোধ দেখা দিতে পারে মিউটেশন (নামজারি) সম্পন্ন হয়েছে ৪) কিনা যাচাই করুন:
দলিলে নামজারি সম্পন্ন আছে কি না তা যাচাই করা অপরিহার্য। নামজারি ছাড়া জমির মালিকানা বৈধ বিবেচিত হয় না।
৫) মালিকানার উৎস নিশ্চিত করুন:
জমির মালিকানা উত্তরাধিকার, ক্রয় বা দান সূত্রে এসেছে কিনা তা স্পষ্টভাবে দলিলে থাকা উচিত। উৎস অস্পষ্ট হলে, ভবিষ্যতে মালিকানা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হতে পারে।
৬) জমির বাস্তব অবস্থা খতিয়ে দেখুন:
জমি ঋণমুক্ত ও মামলা-মুক্ত কিনা সরেজমিনে যাচাই করুন। দখলে থাকা জমি এবং বাস্তব সীমানা দলিলে থাকা তথ্যের সঙ্গে মেলানো জরুরি।
৭) দলিলের তারিখ যাচাই করুন:
১৯৭৬ সালের পূর্ববর্তী দলিলগুলো অতিরিক্ত যাচাইয়ের দাবি রাখে। পুরনো দলিলে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
৮) একাধিক মালিক থাকলে সকলের স্বাক্ষর নিশ্চিত করুন:
একাধিক মালিক থাকলে, সকল ওয়ারিশের সম্মতিসহ স্বাক্ষর ছাড়া বিক্রয় বৈধ হয় না। স্বাক্ষরের অনুপস্থিতি আইনি জটিলতার কারণ হতে পারে।
৯) জাল দলিল চিহ্নিত করার কৌশল:
বানান ভুল, অস্পষ্ট তথ্য, অস্বাভাবিক অসঙ্গতি এবং সন্দেহজনক স্বাক্ষরের দিকে সতর্ক থাকুন। জাল দলিল অনেক সময় এই ধরনের ছোটখাট অসঙ্গতির মাধ্যমে চিহ্নিত হয়।
১০) আইনি পরামর্শ নিন:
অভিজ্ঞ আইনজীবীর সাহায্য নিলে দলিলের সত্যতা যাচাই করা সহজ হয়। তারা সম্ভাব্য আইনি ঝুঁকি চিহ্নিত করে এবং আপনার বিনিয়োগ নিরাপদ রাখতে সহায়তা করেন।
জমি ক্রয় একটি বড় বিনিয়োগ। একটি ছোট ভুল দলিলও ভবিষ্যতে আপনার জন্য মারাত্মক আর্থিক ক্ষতি, দখল বিরোধ বা আদালত পর্যন্ত যাওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। সতর্কতা, সচেতনতা এবং অভিজ্ঞদের আইনি পরামর্শ গ্রহণের মাধ্যমে নিশ্চিত করা সম্ভব যে, আপনার জমি বৈধভাবে দখলে এবং বিনিয়োগ সুরক্ষিত।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- এশিয়া কাপ ২০২৫: বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান,সরাসরি দেখবেন যেভাবে
- এশিয়া কাপ: পাকিস্তান বনাম শ্রীলঙ্কা, সরাসরি দেখবেন যেভাবে
- উৎপাদন বন্ধ ৩০ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করেছে ডিএসই
- তালিকাচ্যুত হচ্ছে পাঁচ ব্যাংক, বলির পাঠা শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা!
- শেয়ারবাজারের ১২ কোম্পানির ২ হাজার কোটি টাকার নতুন বিনিয়োগ
- নতুন দিগন্তে বেক্সিমকো, শেয়ারবাজারে আশার আলো
- যেভাবে পাঁচ ব্যাংকের আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে
- এনবিআর-এর ক্যাশ গেইন প্রতিক্রিয়া অতিরঞ্জিত: আনিসুজ্জামান চৌধুরী
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ৬ কোম্পানিতে
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- বিএসইসি-ডিএসই’র নাকের ডগায় লোকসানি শেয়ার নিয়ে কারসাজি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৬ কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণার তারিখ জানাল তিন কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে এনভয় টেক্সটাইল
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর নতুন আবেদন