ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০ আশ্বিন ১৪৩২

বিমানবন্দরে ডিম হামলা, বিচারের দাবিতে কর্মসূচি এনসিপি'র

২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৩ ১১:৩৯:২৬

বিমানবন্দরে ডিম হামলা, বিচারের দাবিতে কর্মসূচি এনসিপি'র

নিজস্ব প্রতিবেদক: নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেনকে লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপের ঘটনায় নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক অঙ্গন। স্থানীয় সময় সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় আওয়ামী লীগপন্থী নেতাকর্মীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে দিতে হঠাৎ করেই আখতার হোসেন ও এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারাকে লক্ষ্য করে ডিম ছোড়ে।

সেই মুহূর্তে ঘটনাস্থলের কাছেই ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং তারেক রহমানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ডিম নিক্ষেপের সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল খুবই দুর্বল, ফলে তাৎক্ষণিকভাবে বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে আখতার হোসেন ও তাসনিম জারা শারীরিকভাবে গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হননি।

ঘটনার পরপরই এনসিপি এক বিবৃতি দিয়ে এই ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে আখ্যা দেয় এবং সরাসরি বাংলাদেশ সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করে। বিবৃতিতে দলটি দাবি করে, “এটি শুধুমাত্র আখতার হোসেন বা তাসনিম জারার ওপর হামলা নয়, বরং রাজনৈতিক মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত।”

এসময় এনসিপি তিন দফা দাবি উত্থাপন করে:

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবিলম্বে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।

ইন্টেরিম সরকারের নিরাপত্তা ব্যর্থতার দায় স্বীকার করতে হবে।

রাজনৈতিক নেতাদের নিরাপত্তায় আন্তর্জাতিক মানের নিশ্চয়তা দিতে হবে।

এনসিপি তাদের ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের এ হামলার প্রতিবাদে এবং ইন্টেরিম সরকারের গাফিলতির জবাব দিতে সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল হবে। রাজধানীতে আজ বিকেল ৪টায় শাহবাগ জাদুঘরের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার নেতাকর্মীদের সমবেত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও একযোগে বিক্ষোভ মিছিল আয়োজনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ঘটনাটি ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে তুমুল আলোচনা চলছে। আওয়ামী লীগ এখনো এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ঘটনাটিকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এনসিপি ও আওয়ামী লীগের সমর্থকদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যযুদ্ধ শুরু হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদেশের মাটিতে এ ধরনের ঘটনা বাংলাদেশের রাজনীতিকে আরও সংকটমুখী করে তুলবে এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সরকারবিরোধী আন্দোলনকে জোরদার করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবে।

এমজে

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত