ঢাকা, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২

গণঅধিকার পরিষদ-এনসিপি একীভূত: কী বললেন মুখ্য সমন্বয়ক?

২০২৫ সেপ্টেম্বর ২২ ২২:৫০:১১

গণঅধিকার পরিষদ-এনসিপি একীভূত: কী বললেন মুখ্য সমন্বয়ক?

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং গণঅধিকার পরিষদ একীভূত হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেছেন, এই একীভূতকরণের মাধ্যমে তরুণদের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক জোট গড়ে তোলা হবে, যা দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক দৃশ্যপটে স্বতন্ত্র একটি ব্লক তৈরি করবে।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে এনসিপি প্রতিনিধিদলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এসব কথা বলেন।

নাসীরুদ্দীন জানান, দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে তিনটি ব্লক তৈরি হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে একটি ইসলামিক ব্লক ইতোমধ্যেই গঠিত হয়েছে। এছাড়া বিএনপির নেতৃত্বে একটি এবং এনসিপির নেতৃত্বে একটি স্বতন্ত্র ব্লক গঠিত হচ্ছে। তিনি স্পষ্ট করেন যে, যেহেতু তারা বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে একমত নন, তাই তাদের ব্লকে যাচ্ছেন না এবং তারা স্বতন্ত্রভাবে কাজ করবেন।

নাসীরুদ্দীন বলেন, নিজেদের অগ্রযাত্রার জন্য এনসিপির ব্যানারে তরুণদের নিয়ে একত্রে কাজ করা হবে এবং গণমাধ্যমে তা তুলে ধরা হবে। তিনি উল্লেখ করেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় তারা যে ইশতেহার দিয়েছিলেন, তাতে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ না হওয়ায় দীর্ঘ লড়াইয়ের কথা বলা হয়েছিল। গত ১৫ বছরে যারা আন্দোলন করেছেন এবং দল সৃষ্টি করেছেন, তাদের অনেকেই এনসিপির ব্যানারে যোগ দিতে সম্মত হয়েছেন। তাদের সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে এবং একীভূতকরণের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হলে বিস্তারিত জানানো হবে।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানান, আগামী সংসদে সরকারি দল ও বিরোধী দল নীতিগতভাবে থাকলেও, সংসদ হবে আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে। তিনি বিশ্বাস করেন যে, এবারের নির্বাচনে ব্যালট বিপ্লব হবে এবং ভোটিং প্রক্রিয়া থেকে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাবে। জামায়াত ও বিএনপির যে তরুণরা গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছেন এবং যারা ভালো মানুষ, তাদের প্রতি এনসিপির মৌন সমর্থন থাকবে বলেও তিনি জানান।

গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপি যুক্ত হলে দলের নাম 'এনসিপি' থাকবে এবং প্রতীকও এনসিপিরই থাকবে। অন্যান্য দলের নাম-প্রতীক বিলোপ হবে। নাসীরুদ্দীন জানান, এনসিপির অধীনে আরও অনেক দল আসছে এবং তারা একটি বড় ধরনের দল করতে যাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, তারা শাপলা প্রতীক পাওয়ার দাবি থেকে সরবেন না এবং প্রয়োজনে প্রতীক তালিকা সংশোধনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করবেন।

এনসিপির নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী দাবি করেন যে, তাদের জরিপ অনুযায়ী, আগামী নির্বাচনে এনসিপি ১৫০ আসনে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা ইতোমধ্যেই জেলা সমন্বয়কদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন এবং প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। গণঅভ্যুত্থানে ভূমিকা রাখা আলেম সমাজ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা, নারী প্রতিনিধি, সাংবাদিক, শ্রমিক, মজুর ও কৃষকদের প্রক্রিয়াগত জায়গায় রাখা হয়েছে এবং তাদের সঙ্গেও আলোচনা চলছে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে এ আলাপকালে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা উপস্থিত ছিলেন।

এসপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত