ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২

পরিবর্তন আসছে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ১৪:৫৮:০৫

পরিবর্তন আসছে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় নতুন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি প্রণীত বিধিমালার কিছু অসঙ্গতি ও প্রক্রিয়াগত জটিলতার কারণে এটি পুনরায় সংশোধনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। ইতোমধ্যেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় নীতিগতভাবে এই পরিবর্তনের অনুমোদন দিয়েছে। নতুন সংশোধন কার্যকর হলে ১৯তম শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পথ সহজ হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সূত্র জানিয়েছে, এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম ভাইভার নম্বর অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ করেছেন। এ কারণে বিধিমালায় সংশোধন আনা হচ্ছে। সংশোধন সম্পন্ন হওয়ার পরই ১৯তম শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে এনটিআরসিএর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আগের সংশোধিত বিধিতে বয়স গণনা ও অন্যান্য কিছু ধারা পরিবর্তন করা হয়েছিল এবং তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও সচিব কমিটিতে অনুমোদিত হয়েছিল। তবে ভাইভার নম্বর যুক্ত করার কারণে পুনরায় সংশোধন প্রক্রিয়া প্রয়োজন। শিগ্রই এ কাজ শুরু হবে।’

বিধি সংশোধনের ফলে নভেম্বরের মধ্যে ১৯তম শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা সম্ভব হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে কর্মকর্তা জানান, ‘ভাইভার নম্বর সংক্রান্ত আলোচনা চলছিল, তাই সংশোধনকে ইতিবাচকভাবে দেখা হচ্ছে। তবে বিধি পরিবর্তন ও পরিপত্র জারি করতে কিছুটা সময় লাগবে, তাই নভেম্বরের মধ্যে কার্যক্রম শুরু হবে কি না তা বলা এখন সম্ভব নয়।’

নতুন বিধিমালায় শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার দুটি ধাপ থাকবে—নির্বাচনী পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষা। নির্বাচনী পরীক্ষা এমসিকিউ ভিত্তিক হবে এবং বিষয় ও নম্বর নির্ধারণ করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে শূন্য পদের দ্বিগুণ সংখ্যক প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে।

মৌখিক পরীক্ষা ২০ নম্বরের হবে। নির্বাচনী ও মৌখিক পরীক্ষায় ন্যূনতম ৪০ শতাংশ নম্বর পেলে প্রার্থী উত্তীর্ণ বিবেচিত হবেন। চূড়ান্ত মেধাতালিকা শুধুমাত্র নির্বাচনী পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে তৈরি হবে। মৌখিক পরীক্ষার পর ফল প্রকাশ করা হবে এবং শূন্য পদের ২০ শতাংশ অতিরিক্ত প্রার্থীর নামও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণরা তিন বছরের জন্য সনদ পাবেন, যা সরাসরি নিয়োগের যোগ্যতা নিশ্চিত করবে।

নতুন বিধিমালায় বয়সসীমা ৩৫ বছরই বহাল থাকছে। তবে বয়স গণনা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিন থেকে হবে। ফলে সনদ প্রাপ্তির সময় কেউ ৩৫ বছর অতিক্রম করলেও তারা চাকরির জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন।

বর্তমানে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ থাকা সত্ত্বেও প্রার্থীদের দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়। এনটিআরসিএর সুপারিশ সত্ত্বেও নানা জটিলতা তৈরি হয়। নতুন বিধিমালা এসব জটিলতা দূর করতে এবং প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত করতে তৈরি করা হচ্ছে।

এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম জানান, ‘পরিবর্তিত পদ্ধতি সম্পূর্ণ তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর হবে। এতে আইনি জটিলতা কমবে এবং নিয়োগ কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।’

ইএইচপি

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত