ঢাকা, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২

সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য বিশেষ নির্দেশনা মাউশির

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৭ ১২:২৩:৪৩

সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য বিশেষ নির্দেশনা মাউশির

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে টাইফয়েড প্রতিরোধে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী ১২ অক্টোবর থেকে মাসব্যাপী ‘টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫’ শুরু হবে। সরকারের জাতীয় টিকাদান কর্মসূচির আওতায় দেশের প্রায় ৫ কোটি শিশুকে একটি করে নিরাপদ টাইফয়েড টিকা বিনামূল্যে প্রদান করা হবে।

এই উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে। পাশাপাশি থানা, উপজেলা ও জেলার কর্মকর্তাদেরও কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মাউশির চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের এই বৃহৎ টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে থাকা ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুরা নিকটবর্তী ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রে টিকা গ্রহণ করতে পারবে।

নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে—

১। উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসাররা প্রধান শিক্ষকদের স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করতে সহায়তা দেবেন। জেলা শিক্ষা অফিস ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের ফেসবুক পেজে বিজ্ঞপ্তি ও আনুষঙ্গিক কাগজপত্র আপলোড করতে হবে।

২। সহকারী উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসাররা ক্লাস্টারের বিদ্যালয়গুলোতে কার্যক্রমের সুষ্ঠু প্রতিপালন নিশ্চিত করবেন।

৩। জেলা, উপজেলা ও থানার কর্মকর্তারা দৈবচয়নের ভিত্তিতে বিদ্যালয়গুলোর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবেন।

৪। প্রধান শিক্ষকদের লক্ষ্য থাকবে শিক্ষকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছেন কি না।

৫। শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন, টিকা গ্রহণ নিশ্চিতকরণ, রোভার স্কাউট নিয়োগ এবং অভিভাবকদের উদ্বুদ্ধকরণে সহায়তা করবেন।

৬। দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা রেজিস্ট্রেশন ফরমের তথ্যের সঠিকতা তদারকি করবেন।

৭। কার্যক্রম সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকবেন সহকারী পরিচালক (বিশেষ শিক্ষা) মো. খালেদ সাইফুল্লাহ।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ব্যাপক টিকাদান কার্যক্রম দেশের শিশুদের মধ্যে টাইফয়েড সংক্রমণ রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং সুষ্ঠু স্বাস্থ্যপরিচর্যার মাধ্যমে সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো সম্ভব হবে।

ইএইচপি

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত