ঢাকা, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২
ইউরোপকে রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করতে হবে: ট্রাম্প
.jpg)
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপের দেশগুলোকে রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন, যা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে একটি বড় পদক্ষেপ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। একইসঙ্গে তিনি চীনের ওপরও অর্থনৈতিক চাপ তৈরির কথা বলেছেন।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তা জানান, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত "কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং" বৈঠকে ভিডিও কলে যোগ দিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউরোপীয় নেতাদের বলেছেন যে ইউরোপকে অবশ্যই রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করতে হবে। কারণ এই অর্থ দিয়েই মস্কো ইউক্রেন যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। বৈঠকে রাশিয়ার সঙ্গে সম্ভাব্য শান্তি চুক্তির পর কিয়েভকে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেওয়া হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছিল।
হোয়াইট হাউসের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ম্যাক্রোঁ ও ইউরোপীয় নেতারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানান। ট্রাম্প স্পষ্টভাবে বলেন, শুধু এক বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি কিনে ১.১ বিলিয়ন ইউরো দিয়েছে, যা রাশিয়ার যুদ্ধের অর্থায়নে ব্যবহৃত হচ্ছে।
২০২২ সালে ইউক্রেনে হামলার পর ইউরোপ রাশিয়ার সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের জ্বালানি নির্ভরতা ছিন্ন করার চেষ্টা করছে। ইউরোপীয় কমিশন প্রস্তাব করেছে যে, ২০২৮ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে রাশিয়ার তেল ও গ্যাস আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। যদিও বেশিরভাগ ইউরোপীয় দেশ ২০২২ সালে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল এবং ২০২৩ সালে জ্বালানি আমদানি বন্ধ করেছে, তবে হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ার মতো কয়েকটি দেশ এখনও সীমিত পরিমাণে ক্রুড তেল নিচ্ছে। এছাড়াও, ভারতসহ তৃতীয় দেশে রাশিয়ার তেল প্রক্রিয়াজাত করার পর ইউরোপে জ্বালানি পাঠানো হচ্ছে। ট্রাম্প আসলে কোন ধরনের আমদানিকে লক্ষ্য করছেন, তা অবশ্য পরিষ্কার নয়।
কর্মকর্তা আরও জানান, ট্রাম্প বৈঠকে ইউরোপীয় নেতাদের বলেছেন যে, রাশিয়ার যুদ্ধ অর্থায়নে চীনও ভূমিকা রাখছে, তাই তাদের ওপরও অর্থনৈতিক চাপ বাড়াতে হবে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েনও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
ট্রাম্প বলেছেন, “‘কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং’-এর বৈঠক ছিল ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশ্ন তুলেছেন, ইউরোপীয়রা যদি এখনো রাশিয়ার অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখে, তবে তাদের আন্তরিকতা কোথায়? তিনি পরিষ্কার করেছেন, এটি তার যুদ্ধ নয়, ইউরোপীয়দেরই আরও দায়িত্ব নিতে হবে।”
ট্রাম্প এর আগে সতর্ক করেছিলেন যে, রাশিয়ার তেল কিনলে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে। তবে গত এপ্রিলে বহু দেশের ওপর শুল্ক আরোপের সময় মস্কোর ওপর সরাসরি কোনো শুল্ক আরোপ করেননি।
অন্যদিকে, ম্যাক্রোঁ বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে ইউক্রেনকে স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে আন্তর্জাতিক বাহিনী পাঠাতে ২৬টি দেশ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এসপি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- পাকিস্তান বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাত সাম্প্রতিক ম্যাচের পরিসংখ্যান
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় ৫ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- শেয়ারবাজারে মিডল্যান্ড ব্যাংকের নতুন যাত্রা
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- আট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি
- নতুন উচ্চতায় অগ্রসর হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার
- সর্বনিম্ন দামে আটকে গেল ৭ কোম্পানির শেয়ার
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার