ঢাকা, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২

প্রতিরক্ষা দপ্তরের নাম বদলে ‘যুদ্ধ দপ্তর’ করতে চাইছেন ট্রাম্প

২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৫ ১১:১৬:৫৪

প্রতিরক্ষা দপ্তরের নাম বদলে ‘যুদ্ধ দপ্তর’ করতে চাইছেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের নাম বদল করে আবারও ‘ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার’ বা যুদ্ধ দপ্তর করার উদ্যোগ নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বিষয়ে তিনি শুক্রবার একটি নির্বাহী আদেশে সই করতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। ওই আদেশে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথকে ‘সেক্রেটারি অব ওয়ার’ বা যুদ্ধমন্ত্রী হিসেবেও পরিচিত করার নির্দেশ থাকবে।

একসময় এ মন্ত্রণালয়ের নামই ছিল যুদ্ধ দপ্তর। ১৭৮৯ সালে মন্ত্রিপরিষদ-স্তরের সংস্থা হিসেবে এর যাত্রা শুরু হয় এবং তা টিকে ছিল ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পুনর্গঠন ও নতুন ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে এর নাম হয় ‘ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স’ বা প্রতিরক্ষা দপ্তর, যার বর্তমান রূপ হলো পেন্টাগন।

ট্রাম্পের নতুন নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষা দপ্তরের তুলনায় ‘যুদ্ধ দপ্তর’ নামটি বেশি শক্তিশালী বার্তা বহন করে। এটি শুধু প্রতিরক্ষামূলক সক্ষমতার পরিবর্তে প্রস্তুতি ও দৃঢ় সংকল্পকে প্রতিফলিত করবে। আদেশে প্রতিরক্ষামন্ত্রী, মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জন্য নতুন উপাধি দ্বিতীয় নাম হিসেবে ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাহী বিভাগ গঠন বা নাম পরিবর্তনের দায়িত্ব কংগ্রেসের। অর্থাৎ আনুষ্ঠানিকভাবে মন্ত্রণালয়ের নাম বদল করতে হলে সংশোধনী পাস করতে হবে। তাই ট্রাম্প হেগসেথকে নির্দেশ দিয়েছেন আইন প্রণয়নের সুপারিশ করতে, যাতে স্থায়ীভাবে নাম পরিবর্তন সম্ভব হয়।

নাম পরিবর্তনের স্থায়ী খরচ সম্পর্কে এখনও কিছু জানায়নি হোয়াইট হাউস। তবে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো বলছে, শত শত সংস্থা, প্রতীক, ইমেইল ঠিকানা, ইউনিফর্মসহ নানান ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে গেলে বিলিয়ন ডলার ব্যয় হতে পারে। এতে পেন্টাগনের ব্যয় ও অপচয় কমানোর প্রচেষ্টা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

ট্রাম্প বারবার দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যখন ‘যুদ্ধ দপ্তর’ নাম ব্যবহার করত, তখন দেশটি দুই বিশ্বযুদ্ধে ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করেছিল। তার মতে, সেই নাম ফিরিয়ে আনলে জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় আমেরিকার যুদ্ধ করার প্রস্তুতির বার্তা আরও জোরালোভাবে পৌঁছাবে।

সম্প্রতি ট্রাম্প বলেছেন, তিনি নিশ্চিত কংগ্রেস এ পরিবর্তনে সমর্থন দেবে। এমনকি তার মতে, কংগ্রেসের অনুমোদন হয়তো প্রয়োজনও হবে না।

এমজে

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত