ঢাকা, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২

বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে শেয়ারবাজারের ৮ কোম্পানিতে

২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৪ ১১:৫১:০৪

বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে শেয়ারবাজারের ৮ কোম্পানিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত জুলাই মাসে ০.১০ শতাংশের বেশি বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৮ কোম্পানিতে। কোম্পানিগুলো হলো- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, বৃটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকো-বিএটিবিসি, ঢাকা ডাইং, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, রেকিট বেনকিজার, রেনেটা, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রজ এবং ইউসিবি। আমারস্টক ও ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক

গত জুলাই মাসে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে ০.১০ শতাংশের বেশি বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে। কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ১১৫ কোটি ১৬ লাখ ৯১ হাজার ৭১৩টি এবং পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ১৫১ কোটি ৬৯ লাখ ২০ হাজার টাকা।

কোম্পানিটির মোট শেয়ারের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে জুন মাসে ছিল ০.১৫ শতাংশ, যা জুলাই মাসে ০.১১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ০.০৪ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে বাকি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ১৫.১১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে সর্বোচ্চ ২৫.৮৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫৯.০২ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ অর্থবছরের জন্য ডিভিডেন্ড দিয়েছে ১০ শতাংশ ক্যাশ ও ৫ শতাংশ স্টক। ২৪ সালে ব্যাংকটি কোনো ডিভিডেন্ড দেয়নি।

বিএটিবিসি

বৃটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকো-বিএটিবিসির শেয়ার সংখ্যা ৫৪ কোটি এবং পরিশোধিত মূলধন ৫৪০ কোটি টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে জুন মাসে ছিল ৪.০৩ শতাংশ, যা জুলাই মাসে ০.৩১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩.৭২ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে বাকি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ৭২.৯১ শতাংশ, সরকারের কাছে ০.৬৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে সর্বোচ্চ ১৪.২৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৮.৪৯ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ অর্থবছরের জন্য ডিভিডেন্ড দিয়েছে ৩০০ শতাংশ ক্যাশ।

ঢাকা ডাইং

ঢাকা ডাইংয়ের শেয়ার সংখ্যা ৮ কোটি ৭১ লাখ ৫৩ হাজার ৪৫৩টি এবং পরিশোধিত মূলধন ৮৭ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে জুন মাসে ছিল ০.৪১ শতাংশ, যা জুলাই মাসে ০.২৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ০.১৮ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে বাকি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ৩০.১০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে সর্বোচ্চ ১৮.৪৮ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫১.২৩ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ ৩০ জুন ২০২৪ অর্থবছরের জন্য কোন ডিভিডেন্ড দেয়নি।

অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ

অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার সংখ্যা ১৯ কোটি ৯৯ লাখ ৩৮ হাজার ৮৮৬টি এবং পরিশোধিত মূলধন ১৯৯ কোটি ৯৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে জুন মাসে ছিল ৩৪.২১ শতাংশ, যা জুলাই মাসে ০.২৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩.৯৬ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে বাকি শেয়ারের মধ্যে সরকারের কাছে ৩২.৩৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে সর্বোচ্চ ২১.০১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১২.৬৪ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ ৩০ জুন, ২০২৪ অর্থবছরের জন্য ডিভিডেন্ড দিয়েছে ১০ শতাংশ ক্যাশ।

রেকিট বেনকিজার

রেকিট বেনকিজারের শেয়ার সংখ্যা ৪৭ লাখ ২৫ হাজার এবং পরিশোধিত মূলধন ৪ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে জুন মাসে ছিল ১.১৫ শতাংশ, যা জুলাই মাসে ০.৯৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ০.২০ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে বাকি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ৮২.৯৬ শতাংশ, সরকারের কাছে ৩.৭৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে সর্বোচ্চ ৬.২১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬.৮৬ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ অর্থবছরের জন্য ডিভিডেন্ড দিয়েছে ৩৩৩০ শতাংশ ক্যাশ।

রেনেটা

রেনেটার শেয়ার সংখ্যা ১১ কোটি ৪৬ লাখ ৯৬ হাজার ৪৯০টি এবং পরিশোধিত মূলধন ১১৪ কোটি ৬৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে জুন মাসে ছিল ১৯.৯৪ শতাংশ, যা জুলাই মাসে ০.৫১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৯.৪৩ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে বাকি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ৫১.২৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে সর্বোচ্চ ২১.৮৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৭.৪৪ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ ৩০ জুন, ২০২৪ অর্থবছরের জন্য ডিভিডেন্ড দিয়েছে ৯২ শতাংশ ক্যাশ।

শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ

শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার সংখ্যা ১৫ কোটি ৪০ লাখ ৪৬ হাজার ৪৭৩টি এবং পরিশোধিত মূলধন ১৫৪ কোটি ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে জুন মাসে ছিল ৬.৪৩ শতাংশ, যা জুলাই মাসে ০.৬৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫.৭৪ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে বাকি শেয়ারের মধ্যে সরকারের কাছে ৫১.৪৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে সর্বোচ্চ ২৪.৮০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৭.৯৮ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ ৩০ জুন, ২০২৪ অর্থবছরের জন্য ডিভিডেন্ড দিয়েছে ১ শতাংশ ক্যাশ।

ইউসিবি

ইউসিবির শেয়ার সংখ্যা ১৫৫ কোটি ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৮৯৮টি এবং পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৫৫০ কোটি ৩৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে জুন মাসে ছিল ০.৫৯ শতাংশ, যা জুলাই মাসে ০.৫৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ০.০১ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে বাকি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ১০.২৭ শতাংশ, সরকারের কাছে ০.৮১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে সর্বোচ্চ ৩৫.৯৯ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫২.৯২ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ অর্থবছরের জন্য ডিভিডেন্ড দিয়েছে ৫ শতাংশ ক্যাশ ও ৫ শতাংশ স্টক। ২০২৪ সালে ব্যাংকটি কোনো ডিভিডেন্ড দেয়নি।

এসকে/

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত