ঢাকা, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২
ঢাবির সিন্ডিকেট থেকে বাদ আওয়ামীপন্থী ৫ শিক্ষক

ডুয়া নিউজ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সিন্ডিকেট বডির ৫ সদস্যকে পরবর্তী সভা থেকে আর আমন্ত্রণ না জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সিন্ডিকেট সভায় তাদের আমন্ত্রণ না জানানোর কারণ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ রোববার (০৮ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ১৮ জন সিন্ডিকেট সদস্যের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত সদস্যরা আর সে সকল ক্যাটাগরির প্রতিনিধিত্ব করেন না বলে পরবর্তী মিটিং থেকে তারা আর আমন্ত্রণ পাবেন না।
বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে যে ৫ জন সদস্যকে আর আহ্বান জানানো হবে না তারা হলেন, সহকারী অধ্যাপক ক্যাটাগরি থেকে তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, প্রভাষক ক্যাটাগরি থেকে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের মাহিন মুহিত, সহযোগী অধ্যাপক ক্যাটাগরি থেকে লোক প্রশাসন বিভাগের আবু মুহাম্মদ আহসান, ডিন ক্যাটাগরি থেকে বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক আব্দুস ছামাদ এবং প্রভোস্ট ক্যাটাগরি থেকে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের সাবেক প্রভোস্ট অধ্যাপক মাসুদুর রহমান।
সিন্ডিকেট বডি থেকে বাদ পড়া এসব শিক্ষক আওয়ামীপন্থী হিসেবে পরিচিত। এরমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের আহ্বায়ক ছিলেন অধ্যাপক আব্দুস ছামাদ।
সংবাদ সম্মেলনে প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বডি নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এটি বিজ্ঞ আইনজীবীদের বডি ল রিভিউ কমিটির কাছে পাঠাই। এই কমিটির সদস্য ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নকীব নসরুল্লাহ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ড.নাইম আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের ব্যারিস্টার ও অ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইকরামুল হক।
প্রক্টর জানান, তারা আমাদেরকে দুটি পরামর্শ দিয়েছে। প্রথমত, ডিন এবং প্রভোস্ট ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত শিক্ষকরা তাদের প্রতিনিধিত্বকারী পদ ডিন কিংবা প্রভোস্ট পদে যদি আর বহাল না থাকেন তাহলে তারা যে প্রতিনিধিত্বের কারণে নির্বাচিত হয়েছিলেন সেটি আর থাকছে না। ফলে তাদেরকে পরবর্তী মিটিং থেকে আমন্ত্রণ না জানালেও আইনগত জটিলতায় পড়তে হবে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে।
দ্বিতীয়ত, শিক্ষকদের প্রতিনিধিত্বকারী প্রভাষক সহকারী অধ্যাপক সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত যারা ছিলেন তাদের অনেকের পদোন্নতি হয়েছে তারাও আর তাদের প্রতিনিধিত্বের জায়গায় নেই। তাই তাদেরকেও আমন্ত্রণ না জানানোতে কোন জটিলতা থাকবে না।
আইনগতভাবে জটিলতা নিরসন হওয়ার কারণে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা এই সিন্ডিকেট সদস্যদের আগামী কোন সভায় আহ্বান বা আমন্ত্রণ জানাবো না বলেও জানান তিনি।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে বিস্ময়: এক লাখ টাকার শেয়ার ৮০ কোটি!
- ডিভিডেন্ডের উপর উচ্চ কর: শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ
- বিনিয়োগকারীদের সর্বনাশ করেছে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি
- বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে দ্যুতি ছড়াচ্ছে ১৩ ‘বনেদি’ কোম্পানি
- মুনাফা থেকে লোকসানে তথ্য প্রযুক্তির দুই কোম্পানি
- শেয়ারবাজারের ১০ ব্যাংকে আমানত বেড়েছে ৩২ হাজার কোটি টাকা
- মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারের ১৩ ব্যাংকের
- নীলক্ষেত হোস্টেল থেকে ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর ম’রদেহ উদ্ধার
- ইরানকে হা-ম-লা বন্ধে প্রস্তাব
- শেয়ারবাজারের শর্ত পূরণে ৬০ কোম্পানিকে বিএসইসির আল্টিমেটাম
- সত্যিই কি স্ট্রোক করেছেন মির্জা ফখরুল? যা জানা গেল
- দুই বড় খবরের মধ্যে আজ খুলছে দেশের শেয়ারবাজার
- ডিভিডেন্ড বেড়েছে শেয়ারবাজারের সাত ব্যাংকের
- কারাগারে ফাঁসিতে ঝুললেন সেই অস্ত্রধারী আ’লীগ নেতা
- মূলধনের বেশি রিজার্ভ জ্বালানি খাতের ১৪ কোম্পানির