ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২

হামলার শিকার ডাকসুর আরেক ভিপি প্রার্থী

ডুয়া নিউজ- বিশ্ববিদ্যালয়
২০২৫ আগস্ট ২৭ ১৩:৩০:১৫
হামলার শিকার ডাকসুর আরেক ভিপি প্রার্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে রুমমেটকে আহত করার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার পর এবার হামলার শিকার হয়েছেন ডাকসুর ভিপি পদপ্রার্থী ও বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আবদুল ওয়াহেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী এবং মাস্টার দা সূর্যসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

ঘটনার সূত্রপাত ঘটেছে একই রাতে মুহসীন হলের ৪৬২ নম্বর কক্ষে। সেখানে টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের জালাল আহমদ এবং তার রুমমেট, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের রবিউল হকের মধ্যে কথাকাটাকাটির পর সংঘর্ষ হয়। এতে রবিউল আহত হন এবং তাকে মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এরপর উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা জালালের কক্ষের সামনে অবস্থান নেন।

জালাল দরজা বন্ধ করে নিজেকে কক্ষে আটকে রাখেন। এ সময় আবদুল ওয়াহেদ ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে শিক্ষার্থীদের মব না করার আহ্বান জানান এবং জালালকে নিরাপদে উদ্ধার করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন।

তবে আবদুল ওয়াহেদের এই পোস্টের পর কিছু শিক্ষার্থী তার ওপর হামলা চালান, জালালকে রুম থেকে বের করার সময় তাকে বাধা দেন এবং সেই ঘটনার ভিডিও এবং ছবি মোবাইল থেকে মুছে দেন।

সেই ফেসবুক স্ট্যাটাসে আবদুল ওয়াহেদ বলেন, জালাল যদি সুইসাইড করে এর দায়ভার শিক্ষার্থীরা নেবেন কিনা? তারা রুমের বাইরে অবস্থান করছেন। প্রক্টর স্যার রুমের বাইরে আছেন। শাহবাগ থানা প্রশাসনের লোকও আছেন হল গেইটে। উনাকে রুম থেকে উদ্ধার করে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।

এ বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে আবদুল ওয়াহেদ বলেন, ঘটনার পর আবদ্ধ রুমে আমি জালালের আত্মহত্যার আশঙ্কা করছিলাম যার কারণে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বলি যে, এরকম ঘটনা ঘটলে রুমের সামনে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের দায় নিতে হবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ও পুলিশের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা কথা দেয়, তার গায়ে হাত তোলা হবেনা। কিন্তু রুম থেকে বের হওয়ার পর তাকে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সামনেই তাকে প্রচণ্ড মারধর করা হয় এবং রক্তাক্ত করে ফেলে। সেসময় আমি তাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করি যে, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া ঠিক হচ্ছে না। জালাল দোষী হলেও আইন অনুযায়ী তার শাস্তি হোক, কিন্তু হামলা ও মারধর সমাধান নয়। তখন একদল শিক্ষার্থী আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় এবং জালালের ওপর হামলার ভিডিও ফেসবুক থেকে ডিলিট করতে বাধ্য করে। এসময় তারা আমার গায়েও হাত তুলে। এছাড়া, আমার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া মোবাইলটি থানা থেকে ১ ঘণ্টা পরে উদ্ধার করেছি।

তিনি আরও বলেন, আমি জালালের উপর হামলাকারী ও আমার উপর হামলাকারীদের ঢাবি থেকে বহিষ্কারের এবং গ্রেপ্তারের দাবি জানাই। ঢাবিতে মব কালচার আর ফিরে না আসার জন্য ঢাবি প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে। আমরা এর আগে দেখেছি, কীভাবে তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিলে সামনে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত