ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২
পাইলসের কষ্ট বাড়াতে না চাইলে যে খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন

সুস্থ জীবনযাপনের জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস অপরিহার্য। আমাদের খাদ্যাভ্যাসই বহুলাংশে নির্ধারণ করে দেয় আমরা সুস্থ থাকব, নাকি অসুস্থ হব। বিশেষ করে পাইলসের মতো কষ্টদায়ক সমস্যায় খাদ্যাভ্যাসের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক খাবার যেমন এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে, তেমনই কিছু ভুল খাবার বাড়িয়ে তুলতে পারে যন্ত্রণা।
যারা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য নির্দিষ্ট কিছু খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই খাবারগুলো সম্পর্কে।
১. অতিরিক্ত মসলা ও ঝালযুক্ত খাবার
মসলার স্বাস্থ্যকর গুণ থাকলেও পাইলসের রোগীদের জন্য অতিরিক্ত মসলা ও ঝালযুক্ত খাবার অত্যন্ত ক্ষতিকর। এ ধরনের খাবার হজম প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি বাড়ায়। এর ফলে মলত্যাগের সময় জ্বালাপোড়া ও অস্বস্তি তীব্রতর হতে পারে। তাই যতই মুখরোচক হোক, পাইলসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন।
২. ডুবো তেলে ভাজা ও চর্বিযুক্ত খাবার
ডুবো তেলে ভাজা খাবার যেমন— সিঙাড়া, চপ বা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এবং অন্যান্য চর্বিযুক্ত খাবার হজম করা বেশ কঠিন। এ ধরনের খাবারে ফাইবারের পরিমাণ প্রায় থাকেই না বললেই চলে। ফলে এগুলো কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তোলে এবং পাইলসের যন্ত্রণা তীব্র করে তোলে।
৩. প্রক্রিয়াজাত খাবার ও অতিরিক্ত চিনি
সাদা পাউরুটি, বিস্কুট, চিপস এবং অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত খাবারে ফাইবার কম এবং লবণ ও অস্বাস্থ্যকর উপাদান বেশি থাকে। এই খাবারগুলো হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের অন্যতম কারণ। একইভাবে, অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবারও শরীরের জন্য ক্ষতিকর এবং পাইলসের সমস্যাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। এর বদলে ফাইবার সমৃদ্ধ শস্য ও ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন।
৪. অতিরিক্ত চা এবং কফি
পরিমিত পরিমাণে চা বা কফি পান করা ঠিক আছে, কিন্তু অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ করলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ক্যাফেইন শরীরকে পানিশূন্য করে তুলতে পারে, যার ফলে মল শক্ত হয়ে যায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। তাই পাইলসের রোগীদের দিনে এক বা দুই কাপের বেশি চা-কফি পান করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
সুতরাং, পাইলসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপনার খাদ্যতালিকা থেকে এই খাবারগুলো বাদ দিন এবং তার পরিবর্তে ফাইবার সমৃদ্ধ শাকসবজি, ফল ও পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। তবে সমস্যা গুরুতর হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- তিন কোম্পানির কারখানা বন্ধ, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- আইসিবি’র বিশেষ তহবিলের মেয়াদ ২০৩২ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি
- কেয়া কসমেটিক্সের ৮ হাজার কোটি টাকা উধাও, চার ব্যাংককে তলব
- সম্ভাবনার নতুন দিগন্তে শেয়ারবাজারের খান ব্রাদার্স
- ব্লুমবার্গের টেকসই তালিকায় বাংলাদেশের ১১ তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- মূলধন ঘাটতিতে দুই ব্রোকারেজ হাউজ, ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- দুই খবরে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ শেয়ারের চমক
- ২৩ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৮ খবর
- সাকিবের মোনার্কসহ ৮ ব্রোকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- চলতি বছর শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্রায়াত্ব দুই প্রতিষ্ঠান
- হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রতারণা, বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করল ডিএসই
- বিএসইসির নতুন মার্জিন বিধিমালার খসড়া অনুমোদন
- কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শেয়ারবাজারের জন্য সুখবর: কমছে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের সুদ
- বিমা আইন সংস্কার: বিনিয়োগ ও আস্থায় নতুন দিগন্ত