ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২
পর্দার নায়ক সেই থালাপতি বিজয়ের রাজনীতিতে উত্থানের গল্প
.jpg)
গত বৃহস্পতিবার ভারতের তামিলনাড়ুর মাদুরাই জেলায় আয়োজিত মহাসমাবেশে লাখো মানুষ উপস্থিত ছিলেন। ভক্ত-সমর্থকের উচ্ছ্বাসে মুখরিত মঞ্চে উঠেন দক্ষিণী সিনেমার সুপারস্টার ও রাজনীতিবিদ থালাপতি বিজয়। সমাবেশে দেশের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লক্ষ্য করে তিনি রাজনৈতিক হুংকার ছুড়ে দেন, যা মুহূর্তেই সমাবেশস্থল কেঁপে ওঠে।
এটি ছিল দক্ষিণ ভারতের অন্যতম প্রভাবশালী দল তামিলাগা ভেটরি কাজাগম (টিভিকে)-এর আয়োজন। দলের প্রতিষ্ঠাতা ও নেতা হিসেবে বিজয় নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন এবং অপশাসনের বিরুদ্ধে অদম্য সাহস দেখান। তার মতে, রাজনীতি সিনেমার মতো সহনশীলতার জায়গা নয়, বরং এটি যুদ্ধক্ষেত্র। তাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তিনি লড়াইয়ের পথ বেছে নিয়েছেন।
ভাষণে তিনি সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপির বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। সমাবেশে হাজারো মানুষের সামনে ঘোষণা করেন, “আমাদের একমাত্র আদর্শগত শত্রু বিজেপি। আজ আমরা ফ্যাসিবাদী বিজেপির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছি।”
যদিও ভারতের মূলধারার গণমাধ্যমগুলো বিজয়ের এই বক্তব্যকে প্রায় এড়িয়ে গেছে, দক্ষিণ ভারতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমে তার ভাষণের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, কমলা-হলুদের ওড়না বেঁধে কপালে চিহ্ন দিয়ে বিজয় মানুষের সঙ্গে অভিবাদন বিনিময় করছেন; লাখো জনতার উচ্ছ্বাসে পুরো এলাকা মুখর হয়ে ওঠে।
বাংলাদেশের ভক্তরাও বিজয়ের সাহসী অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছেন। নেটিজেনরা মন্তব্য করছেন, “সিনেমার নায়ক থেকে তিনি এখন বাস্তবের নায়ক; জনগণের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন।”
কিন্তু প্রশ্ন হলো, পর্দার নায়ক কেন হঠাৎ রাজনীতিতে এত সক্রিয় হলেন?
থালাপতি বিজয় ক্যারিয়ারের শীর্ষে থাকা অবস্থাতেই রাজনীতিতে নাম লেখান। তিনি নিজের দল তামিলাগা ভেটরি কাজাগম (টিভিকে) গড়ে তোলেন। দল ঘোষণার আট মাস পর ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে প্রথম জনসভায় অংশ নেন। মাত্র ৯ মাসের মধ্যে তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক অঙ্গনে টিভিকে তোলপাড় সৃষ্টি করে এবং ঘোষণা করেন, আসন্ন রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে মাদুরাই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
চেন্নাইয়ে জন্ম নেওয়া যোসেফ বিজয় চন্দ্রশেখরকে ভক্তরা ভালোবেসে ডাকেন থালাপতি, অর্থাৎ ‘সেনাপতি’। একের পর এক হিট ছবির মাধ্যমে তিনি কোটি দর্শকের মন জয় করেছেন। মোটা পারিশ্রমিক এবং ঝলমলে সিনেমা ক্যারিয়ারকে পেছনে রেখে রাজনীতির মাঠে নামেন। তার লক্ষ্য একটাই—২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয় এবং জনগণের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করা। বিজয়ের বিশ্বাস, রাজনীতি কোনো পেশা নয়, এটি জনসেবা।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ৪০ বছরের ইতিহাসে ডিভিডেন্ডে নজির ভাঙল এপেক্স ট্যানারি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণায় রেকর্ড ভাঙ্গল লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স!
- ঘোষণা দিয়েও শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড দেয়নি ১৭ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে হাহাকার, ৮ দিনে ৪২ হাজার কোটি টাকা গায়েব!
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে মুন্নু এগ্রো
- একদিনে 'এ' ক্যাটাগরিতে ফিরল দুই কোম্পানি
- বস্ত্র খাতের ৮ কোম্পানিতে বেড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ
- পতন তান্ডবে শেয়ারবাজারে ছোটদের কফিনেও বড় পেরেক!
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ১৭ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- শেয়ারবাজারে সচেতনতা বাড়াতে এবার যুক্ত হচ্ছে মাঠ প্রশাসন
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে বিএসআরএম লিমিটেড
- মার্জিন ঋণ আতঙ্কে হঠাৎ ধস নামলো শেয়ারবাজারে!
- লাফার্জ হোলসিমের উচ্চ মুনাফার 'অ্যাগ্রিগেটস' ব্যবসা
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে তালিকাভুক্ত ৪ কোম্পানি
- শেয়ারবাজার স্থিতিশীল রাখতে এক হাজার কোটি টাকা পাচ্ছে আইসিবি