ঢাকা, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের মধ্যে বিষণ্নতায় ভুগছেন ৮২.৫ শতাংশ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের মধ্যে ৮২ দশমিক ৫ শতাংশ বিষণ্নতায় ভুগছেন এবং ৬৪ শতাংশ ভুগছেন তীব্র আঘাত-পরবর্তী মানসিক চাপে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) বাংলাদেশ মেডিকেল ইউনিভার্সিটি (বিএমইউ)-তে আয়োজিত বিয়ন্ড দ্য হেডলাইনস মেন্টাল হেলথ কন্সিকোয়েন্সেস অফ দ্য জুলাই আপরাইজিং অ্যান্ড মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
বিএমইউর মনোরোগবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ডা. নাহিদ মাহজাবিন মোর্শেদ তার বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ ইম্প্যাক্ট অফ ট্রমা অ্যান্ড ভায়োলেন্স ইন চাইল্ড অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্ট পপুলেশন-এ বলেন, শৈশবের ট্রমা ও সহিংসতা শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে। প্রাথমিক পর্যায়ে দ্রুত শনাক্তকরণ ও মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা দেওয়া হলে জটিল মানসিক রোগ ও আচরণগত সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তারা শিশুদের মানসিক অবস্থা মূল্যায়ন করেন, সাইকোলজিক্যাল ফাস্ট এইড প্রদান করেন, প্রমাণভিত্তিক থেরাপি প্রয়োগ করেন এবং প্রয়োজনে ওষুধসহ সমন্বিত চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেন। পাশাপাশি পরিবার, শিক্ষক ও কমিউনিটিকে নিয়ে সহায়ক পরিবেশ গড়ে তোলেন। তিনি বলেন, সহানুভূতিশীল পরিবার, সচেতন শিক্ষক ও নিরাপদ সমাজ একসঙ্গে কাজ করলে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য একটি শক্তিশালী সুরক্ষা বলয় তৈরি হয়।
তিনি বলেন, অভিভাবক, শিক্ষক ও যত্নদাতাদের আহ্বান জানাই শিশুর মানসিক কষ্ট বা পরিবর্তন লক্ষ করলে দেরি না করে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। দ্রুত হস্তক্ষেপ মানে ভবিষ্যতের জটিলতা প্রতিরোধ। মানসিক স্বাস্থ্য পেশাজীবীরা শুধু চিকিৎসকই নয়, তারা শিশুদের জন্য সহায়ক, পথপ্রদর্শক এবং ভবিষ্যৎ রক্ষাকারী।
বিএমইউর মনোরোগবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শামসুল আহসান তার উপস্থাপনা মেন্টাল হেলথ ইম্প্যাক্ট অফ ভায়োলেন্স অ্যান্ড ট্রমা-এ বলেন, বিএমইউ, নিটোর ও এনআইইউতে ভর্তি হওয়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ২১৭ জন রোগীর মধ্যে ৮২ দশমিক ৫ শতাংশ বিষণ্নতায় ও ৬৪ শতাংশ তীব্র আঘাত-পরবর্তী মানসিক চাপে ভুগছেন এবং অনেকেই একসাথে এই দুই সমস্যায় আক্রান্ত।
তিনি জানান, গ্রামীণ এলাকার আহত রোগীরা নিজেদেরকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেন এবং তাদের উদ্বেগও তুলনামূলক বেশি। কারণ অহতরা আশঙ্কা করছেন, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তারা পর্যাপ্ত চিকিৎসা সহায়তা হয়তো পাবেন না। তাই ঢাকাসহ সারাদেশে সমন্বিত শারীরিক ও মানসিক চিকিৎসা ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান, সরাসরি দেখবেন যেভাবে
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে শেয়ারবাজারের ৮ কোম্পানি
- বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ড, সরাসরি দেখবেন যেভাবে
- শেয়ারবাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিএসইসি চেয়ারম্যানের যুগান্তকারী ঘোষণা
- ‘জেড’ থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফিরেছে তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- আফগানিস্তান বনাম বাংলাদেশ, সরাসরি দেখবেন যেভাবে
- ডুবছে ওষুধের দুই কোম্পানি, বিনিয়োকারীদের কপালে চিন্তার ভাজ
- সাত কোম্পানির শেয়ারে কারসাজির গন্ধ!
- RSI এলার্ট: ১০ শেয়ারে বিপদ সংকেত
- উৎপাদন বন্ধ চার কোম্পানির শেয়ার নিয়ে সতর্কতা জারি
- জেডে নেমে তিন শেয়ারের ধস, বিনিয়োগকারীদের নিঃস্ব হওয়ার শঙ্কা
- মশিউর সিকিউরিটিজের গ্রাহকদের জন্য জরুরি নির্দেশনা
- শেয়ারবাজারের কোম্পানিতে কারসাজির গন্ধ! তদন্তে নেমেছে বিএসইসি
- ঢাবি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে জাপান, আবেদন করবেন যেভাবে
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে ২ কোম্পানি