ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২
‘র’ নেটওয়ার্কের সহায়তায় জরুরি অবস্থা ঘোষণার পরিকল্পনা

বাংলাদেশে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর নেটওয়ার্ক পরিচালনায় নিয়োজিত লেফটেন্যান্ট জেনারেল (বরখাস্ত) মুজিবুর রহমান গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ধোবাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যান। তার পালানোর আগে তিনি আর্মি সিকিউরিটি ইউনিটের নজরদারিতে ছিলেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে মুজিব দিল্লিতে অবস্থান করছেন এবং সেখান থেকেই শেখ হাসিনার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বজায় রেখে অন্তর্বর্তী সরকারের পতন ঘটিয়ে তাকে পুনরায় ক্ষমতায় আনার ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন।
তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, মুজিব দেশের ভেতরে বিভিন্ন নাশকতা এবং অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন একাধিক সাবেক সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তা। এদের মধ্যে ছিলেন মেজর জেনারেল (অব.) আকবর, পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মনিরুল, সাবেক ডিজিএফআই কর্মকর্তা আকবর যিনি ষড়যন্ত্রকালীন সময়ে একদিনের জন্য ঢাকাও সফর করেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মুজিব ‘র’-এর প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং পুলিশে গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। তার নির্দেশনায় বিমানবাহিনীতে ‘র’-এর ছায়া নিয়োগকারী আবদুল্লাহ ইবনে আলতাফকে নিয়োগ দেওয়া হয়। গ্রেপ্তারের পরবর্তীতে এই গোয়েন্দা চক্রের গভীরতা প্রকাশ পায়।
বিশেষ সূত্রের বরাতে জানা গেছে, শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর ৬ আগস্ট সেনাবাহিনীর মধ্যমেয়াদি ক্যু অথবা জরুরি অবস্থা ঘোষণার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এই চক্রান্তে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন তৎকালীন ডিজিএফআই প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক, এনএসআই প্রধান মোহাম্মদ হোসাইন আল মোরশেদ, মেজর জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসান, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আকবর হোসেন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) তাবরেজ শামস চৌধুরী, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ শাহিনুল হক, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) সাইফুল আলম।
তবে এই বিপজ্জনক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগেই সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের দৃঢ় ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং দেশে সম্ভাব্য একটি বড় রাজনৈতিক ও নিরাপত্তাগত সংকট এড়ানো সম্ভব হয়।
অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা তথ্য বলছে, ২ আগস্টও মুজিব ক্যু সদৃশ একটি চেষ্টায় জড়িত ছিলেন তবে তা গোপন রাখা হয়েছে তদন্তের স্বার্থে।
মুজিবের নেতৃত্বে পরিচালিত এই চক্রান্ত দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও গণতান্ত্রিক ধারার ওপর একটি গুরুতর হুমকি হিসেবে দেখা হয়। সেনাবাহিনীর সজাগ দৃষ্টি ও দায়িত্বশীল ভূমিকা এ ষড়যন্ত্রের সমাপ্তি টানে এবং দেশকে একটি বড় বিপর্যয়ের মুখ থেকে রক্ষা করে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ভারতে ঢাবির দুই ছাত্রীর ছবি নিয়ে তোলপাড়, ক্ষোভ
- শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্র ও বহুজাতিক ১৫ কোম্পানি
- ১১'শ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিবে ঘুড্ডি ফাউন্ডেশন
- স্কয়ার ফার্মার বাজার মূলধনে নতুন মাইলফলক
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৭ প্রতিষ্ঠান
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফিরেছে আর্থিক খাতের কোম্পানি
- নতুন সিনেট সদস্য হলেন ঢাবির ৫ অধ্যাপক
- ক্যাশ ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- সর্বোচ্চ উচ্চতায় ১৭ কোম্পানির শেয়ার
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ১২ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- গেস্ট হাউজ থেকে সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহ উদ্ধার
- ‘মুজিব’স ব্লান্ডার্স’: নেপথ্যের ষড়যন্ত্র উন্মোচন
- ৩ আগস্টের আগাম বার্তায় উত্তাপ ছড়াচ্ছে এনসিপি
- ‘৪ আগস্ট রাতেই হাসিনা পতনের পরিকল্পনায় শিবির নেতা সিবগাতুল্লাহ’