ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২

প্রিজাইডিং অফিসারদের ক্ষমতায়ন ও নিরাপত্তায় ইসি'র ৭ সুপারিশ

২০২৫ আগস্ট ০৪ ২৩:২২:৫৬

প্রিজাইডিং অফিসারদের ক্ষমতায়ন ও নিরাপত্তায় ইসি'র ৭ সুপারিশ

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোট ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের সংস্কার আনতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের অধিকতর ক্ষমতায়ন এবং তাদের নিরাপত্তায় দেহরক্ষী নিয়োগের মতো গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি, নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আরও উন্নত করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব আহ্বান করা হয়েছে।

সোমবার (৪ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই উদ্যোগের কথা জানানো হয়। চিঠিটি সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রিজাইডিং অফিসারদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের ক্ষমতা, কর্মপরিধি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অপরিহার্য বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন। এই লক্ষ্যে, ভোটকেন্দ্রে মোতায়েন থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর প্রিজাইডিং অফিসারের নিয়ন্ত্রণ আরও জোরালো করার প্রয়োজনে ইসি সাতটি সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করেছে।

নির্বাচন কমিশনের সুপারিশগুলো হলো:

১. প্রিজাইডিং অফিসার ও তার টিম মালামালসহ কেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্য যথোপযুক্ত যানবাহনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

২. মালামাল নেওয়া থেকে শুরু করে প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক ফলাফল নিয়ন্ত্রণ কক্ষে দাখিল করা অবধি ১ জন আনসার/ পুলিশ সদস্যকে দেহরক্ষী হিসেবে সুনির্দিষ্টভাবে নিয়োজিত করা।

৩. প্রিজাইডিং অফিসারকে সহযোগিতা করার জন্য ১ জন অফিস সহায়ক নিয়োগ দেওয়া।

৪. যতদূর সম্ভব কেন্দ্রের সব মালামাল ও জনবল একইসঙ্গে কেন্দ্রে যাওয়া এবং অবস্থান বাধ্যতামূলক করা।

৫. প্রিজাইডিং অফিসার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় যাতে তাদের কেন্দ্রের জনবলের আহারের ব্যবস্থা করেন তা নিশ্চিত করা।

৬. গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৮৯ (ক) অনুচ্ছেদ অনুসরণে প্রিজাইডিং অফিসারদের ক্ষমতায়নের বিষয় বিবেচনা নেওয়া।

৭. মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে রিটার্নিং অফিসার, স্ট্রাইকিং ফোর্স সর্বোপরি নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের ব্যবস্থা করা।

এই সুপারিশগুলোর পাশাপাশি প্রিজাইডিং অফিসারদের দায়িত্ব পালনের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অ্যাপের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করার ক্ষেত্রে আরও কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, সে বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তাদের মতামত চেয়েছে কমিশন। প্রাপ্ত মতামতগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কমিশনে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন ভোটকেন্দ্র পর্যায়ে একটি নিরাপদ ও স্বচ্ছ পরিবেশ তৈরি করতে চায়, যেখানে প্রিজাইডিং অফিসাররা কোনো ধরনের চাপ বা ভয়ভীতি ছাড়াই তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত