ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২

৪৯তম বিশেষ বিসিএস

পদ শূন্য থাকা সত্ত্বেও বিজ্ঞপ্তিতে নেই আরবি বিভাগ

ডুয়া নিউজ- চাকরি
২০২৫ আগস্ট ০৪ ১৬:৫০:৫৪
পদ শূন্য থাকা সত্ত্বেও বিজ্ঞপ্তিতে নেই আরবি বিভাগ

৪৯তম বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা)-এর বিজ্ঞপ্তিতে 'আরবি ও ইসলামী শিক্ষা' বিষয়ে পদ শূন্য থাকা সত্ত্বেও সার্কুলারে নেই আরবি বিভাগের নাম। এর প্রতিবাদে এবং এটি অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন টি অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ১১ ব্যাচের শিক্ষার্থী ইবরাহীম নাফিস।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শিক্ষা ক্যাডারে প্রভাষক নিয়োগের জন্যই কেবল ৪৯তম বি.সি.এস.-এর বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। সাধারণত সরকারি কলেজের প্রভাষক পদ বেশি শূন্য থাকলে বিশেষ বি.সি.এস. পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। অথচ ১১/০৯/২০১৮ তারিখে প্রকাশিত ৪০তম বি.সি.এস এর পর থেকে 'আরবি ও ইসলামী শিক্ষা' বিষয়ে কোন নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৬৬টি কলেজে 'আরবি ও ইসলামী শিক্ষা' বিভাগ রয়েছে। ৪৯তম বি.সি.এস. (বিশেষ) কেবল সরকারি কলেজের প্রভাষক নিয়োগের জন্য দেওয়া হয়েছে বিধায় আমরা আশাবাদী ছিলাম যে, বিজ্ঞপ্তিতে আরবি ও ইসলামী শিক্ষার প্রভাষক পদ শূন্য দেখানো হবে। কিন্তু আরবি ও ইসলামী শিক্ষার কোনো পদ শূন্য নেই দেখে আমরা চরম হতাশ হয়েছি। যেসব কলেজে আরবি ও ইসলামী শিক্ষা বিভাগ রয়েছে সেগুলোর শিক্ষকদের সাথে আমরা যোগাযোগ করে জানতে পারি, ওই প্রতিষ্ঠানগুলোতে 'আরবি ও ইসলামী শিক্ষা' বিষয়ে ৩৩ টি 'প্রভাষক' পদ শূন্য রয়েছে।

নাফিস বলেন, বি.সি.এস. পরীক্ষার বিভিন্ন ধাপের আয়োজন সম্পন্ন করে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রায় দুই বছর সময় লেগে যায়, ততদিনে নিশ্চয়ই আরো পদ শূন্য হবে। এত সংখ্যক পদ শূন্য থাকা সত্ত্বেও ৪৯তম বি.সি.এস. (বিশেষ) এর বিজ্ঞপ্তিতে 'আরবি ও ইসলামী শিক্ষা' বিষয়ে পদ শূন্য না দেখানো অত্যন্ত দুঃখজনক ও আমাদের জন্য চরম হতাশার বিষয়। আমরা এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের সাথে যোগাযোগ করে আমাদের দাবি জানিয়েছি। এছাড়া পিএসসি'র চেয়ারম্যানকেও মৌখিকভাবে আমাদের দাবিগুলো জানিয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরবি বিভাগের শিক্ষার্থীরা ৪৯তম বি.সি.এস (বিশেষ) পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতে 'আরবি ও ইসলামী শিক্ষা' -এর শূন্য পদগুলো অন্তর্ভুক্ত করে আরবির শিক্ষার্থীদের আবেদনের সুযোগ সৃষ্টির জন্য আমরা জোর দাবি জানান। সকল যৌক্তিকতা থাকা সত্ত্বেও দাবি না মানা হলে আইনি সহায়তা গ্রহণসহ কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারীও দেন তারা।

এ ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মুনতাসীর আহমেদ মুয়াজ, ১৪ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান এবং নাঈম তানভীর প্রমুখ।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত