ঢাকা, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২
মিয়ানমার
নির্বাচনের বিরোধিতায় কারাদণ্ডসহ মৃ'ত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন

দীর্ঘকাল ধরেই মিয়ানমারে সামরিক শাসন চলছে। সর্বশেষ নির্বাচনে ওয়াং সান সুচি জয়লাভ করলেও কিছুদিনের মধ্যেই সংসদ বাতিল করে ফের সামরিক শাসন শুরু করে জান্তা সরকার। আবারও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে মিয়ানমার। আর আসন্ন এই নির্বাচনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীদের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান করে নতুন আইন প্রণয়ন করেছে সামরিক সরকার।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, এই আইনের আওতায় নির্বাচনবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত ব্যক্তিদের ৩ থেকে ৭ বছর এবং দলবদ্ধভাবে অপরাধ সংঘটিত হলে ৫ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার জানিয়েছে, আইনটি কার্যকর হয়েছে গত মঙ্গলবার। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছরের শেষ দিকে দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
নতুন আইনে বলা হয়েছে, নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে কোনো ধরনের বক্তৃতা, সংগঠিত কর্মসূচি, উসকানি, প্রতিবাদ কিংবা লিফলেট বিতরণ নিষিদ্ধ। বিরোধী দল ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা এ পদক্ষেপকে সামরিক শাসনের বৈধতা প্রতিষ্ঠার ‘নাটক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এছাড়াও ব্যালট পেপার বা ভোটকেন্দ্র ধ্বংস, ভোটার, প্রার্থী কিংবা নির্বাচনি কর্মকর্তাদের ভয় দেখানো বা শারীরিকভাবে আঘাত করার অপরাধে সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। এসব ঘটনায় কেউ নিহত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত দেওয়া যেতে পারে বলে আইনে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটি গৃহযুদ্ধের মুখে পড়ে। এর ফলে বহু এলাকা সেনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। চলতি বছরের প্রস্তাবিত নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে নেওয়া জনশুমারি কার্যক্রমেও সরকারকে তীব্র বাধার সম্মুখীন হতে হয়। সামরিক সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী, প্রায় ৫ কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ১ কোটি ৯০ লাখ মানুষের তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। এর জন্য তারা নিরাপত্তাজনিত সমস্যাকেই দায়ী করেছে।
এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ গত মাসে বলেন, মিয়ানমারের এই নির্বাচনি পরিকল্পনা নিছক “প্রতারণা”। তিনি অভিযোগ করেন, সেনাবাহিনী একটি ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে বেসামরিক সরকার প্রতিষ্ঠার নাটক সাজাচ্ছে।
তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করার আহ্বানও জানান।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- এক কোম্পানির দাপটেই চাঙা শেয়ারবাজার
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১৪ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ায় আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- চাহিদার তুঙ্গে ১০ কোম্পানির শেয়ার
- ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন বৃত্তির সাক্ষাৎকার নিয়ে নতুন নির্দেশনা
- এক বহুজাতিকের ধাক্কায়ই কেঁপে উঠল শেয়ারবাজার
- চলতি সপ্তাহে আসছে ৬৫ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- শেয়ারবাজারে চলছে বহুজাতিক কোম্পানির ডিভিডেন্ড উৎসব
- সাত কোম্পানিতে বিনিয়োগ বেড়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- ঢাবির হলে ধূমপায়ীদের সিট না দেওয়ার ঘোষণা; প্রশংসায় ভাসছেন প্রভোস্ট
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১৪ কোম্পানি
- ইপিএস প্রকাশ করার তারিখ জানাল ১৫ প্রতিষ্ঠান
- স্টক ডিভিডেন্ড পেল ৩ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা