ঢাকা, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২
বিতর্কের মুখে বদলে যাচ্ছে ৪৪তম বিসিএসের ফল
.jpg)
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলে এক হাজার ৬৯০ জন প্রার্থীকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। তবে এ তালিকায় পুরোনো বিসিএসে একই ক্যাডারে ইতিমধ্যে নিয়োগপ্রাপ্ত বহু প্রার্থী পুনরায় মনোনীত (রিপিট ক্যাডার) হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি অনুযায়ী এ সংখ্যা ৮০০ জনের বেশি হলেও পিএসসি জানিয়েছে, তারা ৪২৪ জনকে রিপিট ক্যাডার হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
চাকরিপ্রার্থীরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন, এদের অনেকে পুনরায় ওই পদে যোগ না দিলে বহু পদ শূন্য থেকে যাবে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর এমন ফলাফল হতাশাজনক উল্লেখ করে তারা বলেন, যারা ইতোমধ্যে একই ক্যাডারে নিয়োগ পেয়েছেন তাদের বাদ দিয়ে অপেক্ষমাণ উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে মেধাক্রম অনুসারে নতুন তালিকা প্রকাশ করা উচিত। পাশাপাশি তারা অন্তত ৪০০টি অতিরিক্ত পদ সংযোজনের দাবিও জানিয়েছেন।
চাকরিপ্রার্থীদের এসব দাবির প্রেক্ষিতে পিএসসি ইতোমধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠির মাধ্যমে ফল সংশোধনের প্রস্তাব পাঠিয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, যদি কোনো প্রার্থী আগের মতো একই ক্যাডারে পুনঃসুপারিশ পান এবং সেই পদে যোগদানে আগ্রহী না হন তাহলে তাকে বাদ দিয়ে অপেক্ষমাণদের মধ্য থেকে মেধার ভিত্তিতে নতুন প্রার্থী মনোনীত করা যাবে। তবে এতে কোনো পূর্বসুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীর অবস্থান বা অধিকার ক্ষুণ্ন হবে না।
পিএসসি আরও উল্লেখ করেছে যে রিপিট ক্যাডারের কারণে মেধাবী নতুন ও নন-ক্যাডারে অপেক্ষমাণরা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এটি জনসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এ সমস্যা সমাধানে বিদ্যমান বিধির সংশোধন জরুরি বলে মনে করছে কমিশন।
এদিকে চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্তদের মধ্যে আগে থেকেই ক্যাডারে কর্মরত প্রার্থীদের তথ্য গুগল ফর্মের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছে পিএসসি। ১৪ থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয় এবং যাচাই-বাছাই শেষে ৪২৪ জনকে রিপিট ক্যাডার হিসেবে শনাক্ত করা হয় যদিও সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে ৯ জুলাই প্রস্তাব পাঠালেও এখনও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বিষয়টি সতর্কভাবে পর্যালোচনা করা হচ্ছে যাতে ভবিষ্যতে কোনো প্রশাসনিক জটিলতা না তৈরি হয়।
এদিকে উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা ইতোমধ্যে স্মারকলিপি প্রদান, মানববন্ধন, বিক্ষোভ এবং রাজু ভাস্কর্যে অনশন কর্মসূচির মতো আন্দোলনে নেমেছেন। তাদের অভিযোগ, ৩৮, ৪০, ৪১ ও ৪৩তম বিসিএসে পদসংখ্যা বাড়ানো হলেও এবার তা না করে উল্টো কিছু পদ শূন্য রেখেই ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম গণমাধ্যমকে জানান, কমিশন বিদ্যমান বিধি অনুসারে ফল প্রকাশ করেছে। তবে চাকরিপ্রার্থীদের যৌক্তিক দাবির ভিত্তিতে রিপিট ক্যাডারদের তথ্য সংগ্রহ করে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে কমিশন নতুন করে ফল সংশোধন করে প্রকাশ করবে। তিনি আরও জানান, পদসংখ্যা নির্ধারণ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং তাদের অনুমোদনেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- শেয়ার কারসাজিতে ৫ বিনিয়োগকারীকে ১৩ কোটি টাকা জরিমানা
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- কৃত্রিম চাপে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা, সহসা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- এক কোম্পারি অস্থিরতায় শেয়ারবাজারে তোলপাড়
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ইস্টার্ন হাউজিং
- শেয়ারবাজারে প্রসারিত হচ্ছে টেকসই বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত
- ধস কাটিয়ে অবশেষে শেয়ারবাজারে উত্থানের স্রোত
- রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন চালুর পরিকল্পনা ডিএসইর
- মিরাকেলের বিরুদ্ধে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য গোপন করার অভিযোগ
- স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথে এডিএন টেলিকমের নতুন পদক্ষেপ
- বড় পতনের মধ্যেও শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের নতুন ঢেউ