ঢাকা, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২

গোপালগঞ্জে সহিংসতার মামলায় আসামি সাড়ে ১৫ হাজার!

ডুয়া নিউজ- জাতীয়
২০২৫ জুলাই ৩০ ০০:৪৫:৩৩
গোপালগঞ্জে সহিংসতার মামলায় আসামি সাড়ে ১৫ হাজার!

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রা কেন্দ্রিক সহিংস ঘটনায় আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের মোট ৫ হাজার ৪৪৭ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন থানার পরিদর্শক মো. মতিয়ার মোল্লা। বিষয়টি রাতে নিশ্চিত করেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান।

মামলায় গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান, সাবেক পৌর মেয়র শেখ রকিব হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী লিয়াকত আলী লেকু, জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএম মাসুদ রানা, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শেখ, সাবেক যুবলীগ নেতা জাহিদ মাহমুদ বাপ্পি, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নিতিশ রায়, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম কবির, সাধারণ সম্পাদক আলিমুজ্জামান বিটু, মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক শেখ মো. আলী আশরাফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী নাঈম খান (জিমি), ছাত্রলীগ সভাপতি নিউটন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়ালসহ ৪৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৫ হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জ পৌরপার্কে এনসিপির জুলাই পদযাত্রার সমাবেশে নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা আতঙ্ক ছড়িয়ে জনজীবন অচল করে দেন। তারা রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে সহিংস কর্মকাণ্ডে অংশ নেন, পুলিশের ওপর হামলা চালান এবং সরকারি কর্মচারীদের হত্যার উদ্দেশ্যে ককটেল ছোড়েন।

এনসিপির সমাবেশ কেন্দ্রিক সহিংসতায় এখন পর্যন্ত গোপালগঞ্জের সদর, কাশিয়ানী, টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া থানায় মোট ১৩টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ১ হাজার ১৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৪ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এসব মামলায় ১৬ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৩৬ জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

উল্লেখ্য, ১৬ জুলাই এনসিপির কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের কর্মীদের হামলায় এবং পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন। এছাড়া আহত হন আরও অন্তত অর্ধশতাধিক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেদিন জেলা প্রশাসন প্রথমে ১৪৪ ধারা এবং পরে কারফিউ জারি করে। পরবর্তীতে এই কারফিউ ও ১৪৪ ধারা কয়েক দফা বাড়িয়ে ২০ জুলাই সকাল ৮টায় শিথিল করা হয়।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত