ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২

শুরু হচ্ছে শেখ হাসিনার বিচার- চিফ প্রসিকিউটর 

ডুয়া নিউজ- জাতীয়
২০২৫ জুলাই ২৯ ১৬:১৬:২৯
শুরু হচ্ছে শেখ হাসিনার বিচার- চিফ প্রসিকিউটর 

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন,জুলাই গণহত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে আগামী ৩ আগস্ট থেকে। তিনি বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই জুলাই গণহত্যায় জড়িতদের একটি বড় অংশের বিচার শেষ করা সম্ভব হবে।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ‘জুলাই গণহত্যার বিচার: আলোচনা ও তথ্যচিত্র প্রদর্শন’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান কালে তিনি এ কথা বলেন ।চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম আরও বলেন, “যদি এই গণহত্যার বিচারগুলো দ্রুত সম্পন্ন না হয়, তাহলে পরবর্তী যে কোন সরকার ক্ষমতায় এসে গুম, খুন, দমন-পীড়নের সংস্কৃতি অব্যাহত রাখতে পারে।”

তিনি বিচার প্রক্রিয়ার জটিলতা এবং সময়সীমা নিয়ে বলেন, “আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে এ ধরনের বিচার করা কষ্টসাধ্য, তবে অসম্ভব নয়। যত সময়ই লাগুক, এই বিচার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে। কোনো অবস্থাতেই যেন এই বিচার বন্ধ না হয়।”

তিনি জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা মূলত পুলিশ বাহিনী থেকে আগত হলেও তারা স্বাধীনতা ও মানবাধিকারপন্থী মনোভাবাপন্ন। তার ভাষায়, “তদন্ত সংস্থায় যারা কাজ করছেন, তারা বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে বিভিন্নভাবে বঞ্চিত হয়েছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই তারা দেশের কল্যাণে কাজ করতে আগ্রহী হয়েছেন।”

চিফ প্রসিকিউটর জানান, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হয় শেখ হাসিনার সরকার। ওই সময় বিভিন্ন এলাকায় সংঘটিত গুলি, হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে দায়ের হওয়া ‘জুলাই গণহত্যা’ মামলার তদন্ত ও বিচার কার্যক্রম অনেক দূর এগিয়েছে।

তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য ডিসেম্বরের মধ্যে এই মামলার বড় অংশের বিচার সম্পন্ন করা। কিছু কিছু মামলা হয়তো পরের বছরেও যাবে, তবে প্রক্রিয়া চালু থাকবে।”

অনুষ্ঠানে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শনের পাশাপাশি জুলাই গণহত্যা বিষয়ক নৃশংস ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ তুলে ধরা হয়। উপস্থিত আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী এবং শিক্ষার্থীরা বিচার কার্যক্রমের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং দ্রুত বিচার দাবি করেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্যান্য প্রসিকিউটর, তদন্ত সংস্থার সদস্য, মানবাধিকার পর্যবেক্ষক এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত