ঢাকা, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬ ভাদ্র ১৪৩২

শেখ হাসিনা নয়, গোপালগঞ্জ হামলার নেপথ্যের কুশীলব যিনি

২০২৫ জুলাই ১৮ ১৫:৩৯:০৭

শেখ হাসিনা নয়, গোপালগঞ্জ হামলার নেপথ্যের কুশীলব যিনি

গোপালগঞ্জে ১৬ জুলাই জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচি ঘিরে যে হামলা হয়েছে তার পেছনে শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ থাকার অভিযোগ উঠেছে। তিনি বিভিন্ন অডিও বার্তা ও ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে এনসিপির বিরুদ্ধে উসকানি ও হামলার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এনসিপির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনকে প্রত্যক্ষভাবে উসকানি দেন।

একটি অডিও বার্তায় শেখ হাসিনা নাকি নিষিদ্ধ ঘোষিত গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়ালকে বলেন, “এনসিপি গোপালগঞ্জে এসে আমার বাবার কবর ভাঙার হুমকি দিয়েছে। তোমরা এখনও চুপ করে আছো কেন? ওদের প্রতিহত করো। কেউ যেন গোপালগঞ্জে ঢুকতে না পারে।”

এছাড়াও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন কলকাতা থেকে ফেসবুক লাইভে এসে এনসিপির সমাবেশে আক্রমণের নির্দেশনা দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

পরবর্তীতে আতাউর রহমান পিয়ালের নেতৃত্বে চর দুর্গাপুর এলাকায় পুলিশের গাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ ঘটে। একই সময়ে এনসিপির নেতাদের গাড়িবহরেও গুলি ও ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে।

এনসিপির দাবি শেখ হাসিনা নিজেই আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে যোগাযোগ রক্ষা করে গোপালগঞ্জে দলটির কার্যক্রম প্রতিহত করার নির্দেশনা দিয়েছেন।

এই হামলার পরিকল্পনা ও সমন্বয়ে কলকাতায় অবস্থানরত আওয়ামী লীগ নেতা ও গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, লন্ডনে থাকা সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমান, শরীয়তপুর-১ এর সাবেক সাংসদ ইকবাল হোসেন অপু, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম কাজলের নাম উঠে এসেছে।

স্থানীয় পর্যায়ে নারী সদস্যদের সংগঠিত করার দায়িত্ব নেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ইয়াসমিন আলম, যিনি শফিকুল আলম কাজলের স্ত্রী।

এনসিপি বলছে, এসব ঘটনা গোটা পরিস্থিতিকে সংঘাতময় করে তুলেছে। এর দায় সরকার এড়াতে পারে না।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত