ঢাকা, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২
গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ সংস্কার ও বিচারে: হাসনাত আবদুল্লাহ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের আগে তাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত রয়েছে। তিনি বলেন, বিচার ও কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় উত্তরণই এনসিপির মূল লক্ষ্য। পাশাপাশি, যারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী, তাদের এনসিপি নিজেদের মিত্র হিসেবে বিবেচনা করে; আর যারা পরাশক্তির হয়ে কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে দলটি।
শুক্রবার (৪ জুলাই) ঠাকুরগাঁওয়ে ‘জুলাই পদযাত্রা’ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি জানান, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে’ নিহত ও আহতদের পরিবারগুলোর খোঁজ নিতে ও শ্রদ্ধা জানাতেই এই কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে।
নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন অবশ্যই প্রয়োজন, তবে সেটা সুনির্দিষ্ট সময়সীমা ও শর্তের ভিত্তিতে হওয়া উচিত। একইসঙ্গে আমরা বিচার চাই, চাই কাঠামোগত সংস্কার। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে—বিচার ও সংস্কারের ভিত্তিতে এমন একটি গণতন্ত্র গড়া, যা সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য হবে। এ প্রক্রিয়ায় সব পক্ষকেই আমরা নিজেদের ‘টার্গেট অডিয়েন্স’ হিসেবে বিবেচনা করছি।
ঐক্যবদ্ধ শক্তি ও বিরোধীপক্ষ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, যারা ধর্ম, ভাষা, সংস্কৃতি নির্বিশেষে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাস করে এবং বাংলাদেশের সীমান্ত ও সার্বভৌমত্বে আস্থা রাখে, তারাই আমাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ শক্তি। বিপরীতে, যারা দেশের অভ্যন্তর থেকে পরাশক্তির হয়ে কাজ করে, বাংলাদেশবিরোধী অবস্থান নেয় কিংবা ব্যক্তিস্বার্থে দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিতে চায়—তারা সার্বভৌমত্ববিরোধী শক্তি হিসেবে চিহ্নিত।
নতুন চার কোটি ভোটারকে ঘিরে পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে হাসনাত বলেন, এনসিপি বর্তমানে দেশব্যাপী সাংগঠনিক বিস্তারে মনোযোগ দিচ্ছে। দেশের প্রতিটি অঞ্চলে তাদের কর্মসূচি চালু থাকবে, যাতে নতুন ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন ও দলীয় বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া যায়।
এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনীম জারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীসহ দলের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- আট কোম্পানির উদ্যোক্তাদের নিয়ন্ত্রণে ৮০ শতাংশের বেশি শেয়ার
- ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বৃত্তি : সাক্ষাৎকার যেদিন শুরু
- ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ১১০ কোটি টাকার খেলাপি গ্রাহক গ্রেপ্তার
- প্রাতিষ্ঠানিকদের দখলে ৮ কোম্পানি: ৪০ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ
- ১০ শতাংশ শেয়ারও নেই ৮ কোম্পানির উদ্যেক্তা-পরিচালকদের
- এক কোম্পানির যাদুতেই শেয়ারবাজারে উত্থান!
- ২১ বস্ত্র কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক মালিকানা নজরকাড়া তলানিতে
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে তিন কোম্পানি
- হিরোশিমার চেয়ে ৬ গুণ শক্তিশালী বোমা ফেললো ইসরাইল
- শেয়ারবাজারের ৯ ব্যাংকের সম্পদ যাচাই করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
- সুনামির আশঙ্কা, প্রাণ হারাতে পারেন প্রায় ৩ লাখ মানুষ!
- পদোন্নতি পাবেন না যেসব সরকারি কর্মকর্তারা
- ২৪ কোম্পানিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অনীহা, বিনিয়োগ ১০% শতাংশের নিচে
- ১৩ বীমায় প্রাতিষ্ঠানিক মালিকানা তলানিতে, ১০% শতাংশের নিচে শেয়ার
- উদ্যোক্তা পরিচালকের ২০ লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা