ঢাকা, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২
সুসম্পর্ক রাখার বিষয়ে চীনের যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে: ফখরুল
.jpg)
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফেরাতে চীনের ইতিবাচক মনোভাবের কথা এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার বিষয়ে চীনের যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
সোমবার (৩০ জুন) গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি পাঁচদিনের চীন সফর করেন বিএনপির উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল। এ সফরের বিস্তারিত তুলে ধরতেই সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়।
চীন সফর শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, চীনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দেশটির পক্ষ থেকে ইতিবাচক বার্তা পাওয়া গেছে। সম্প্রতি চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে বিএনপির একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল চীন সফর করে। দলে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সফর বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা চীনের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি এবং আমাদের প্রয়োজন ও অবস্থান ব্যাখ্যা করেছি। চীন অত্যন্ত ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে এবং বিষয়গুলো নিয়ে তারা কাজ করছে। ভবিষ্যতে সরকার গঠনের দায়িত্বে এলে আমরা এ বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নেব।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, চীন আমাদের জানিয়েছে, তারা মিয়ানমার সরকারকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাজি করানোর জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এ বিষয়ে তাদের আগ্রহ অনেক।
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চীনের মনোভাব অত্যন্ত পজিটিভ। তারা চায় বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক ও কার্যকর গণতন্ত্র ফিরে আসুক।
প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে টানাপোড়েনের পটভূমিতে চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর প্রশ্নে বিএনপি মহাসচিব জানান, আমরা কখনোই আমাদের নীতিগত অবস্থান থেকে সরিনি। প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়ে চীনের আগ্রহ রয়েছে, আমরাও তাই চাই।
তিনি আরও বলেন, চীনের পলিটব্যুরোর সদস্য শি-লি হংসং আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। চীনের পক্ষ থেকে আশাবাদ জানানো হয়েছে যে, অচিরেই একটি নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে নতুনভাবে কাজ শুরু করা যাবে।
বিএনপির পক্ষ থেকে বৈঠকে অবকাঠামো, প্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি প্রযুক্তি, ব্লু ইকোনমি এবং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে চীনের আরও সক্রিয় ভূমিকার আহ্বান জানানো হয়। চীন এসব বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেছে বলেও জানান তিনি।
চীন-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সম্পর্ক শুরু হয়েছিল শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে, যা পরবর্তীকালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আরও গভীর হয়। চীনা নেতারা এই দুই নেতার অবদানের কথা সম্মানের সঙ্গে স্বীকার করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি, সফর ও সাংস্কৃতিক বিনিময়, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং জনগণকেন্দ্রিক সহযোগিতার মধ্য দিয়ে এই সম্পর্ক আরও সমৃদ্ধ হবে। একই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক প্রত্যাবাসনে চীনের ভূমিকা আরও সক্রিয় হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- পাঁচ কোম্পানিতে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার
- যেসব শর্তে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলো ইরান
- খোঁজ মিলছে না আয়াতুল্লাহ খামেনির!
- ঢাবির হলে প্রকাশ্যে ধূমপানে ২০০ টাকা জরিমানার ঘোষণা
- প্রাতিষ্ঠানিকদের দখলে ৮ কোম্পানি: ৪০ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ
- মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা; উত্তেজনা তুঙ্গে
- ১০ শতাংশ শেয়ারও নেই ৮ কোম্পানির উদ্যেক্তা-পরিচালকদের
- মুন্নু সিরামিকের বিনিয়োগকারীদের জন্য দারুণ সুখবর
- পর্যাপ্ত রিজার্ভ থাকা সত্বেও ফেসভ্যালুর নিচে ১৬ ব্যাংকের শেয়ার
- সরকারি চাকরিতে আসছে অবসরের নতুন নিয়ম
- এক কোম্পানির যাদুতেই শেয়ারবাজারে উত্থান!
- ‘র’-এর ৬ এজেন্ট গ্রেপ্তার
- আর্থিক অস্বচ্ছল দুই শিক্ষার্থীর ভর্তিতে সহযোগিতা করলেন ছাত্রদলনেতা হামিম
- রেকর্ড দামে তিন প্রতিষ্ঠান: বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে তিন কোম্পানি