ঢাকা, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ কার্তিক ১৪৩২
ডলারের দাম বাড়ছে, সরকারের ঋণও ফুলে-ফেঁপে উঠছে
 
                                    বাজেট সহায়তা ও বিভিন্ন মেগা উন্নয়ন প্রকল্পের নামে নেওয়া বিপুল বিদেশি ঋণ এখন বাংলাদেশ সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। একদিকে বাড়ছে সুদের হার, অন্যদিকে আসল পরিশোধের কিস্তির পরিমাণ বাড়ছে বছর বছর। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি তৈরি করেছে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়া। যার ফলে বিদেশি ঋণ পরিশোধে সরকারকে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে।
এক হিসাবে দেখা গেছে, কেবল রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে গৃহীত রাশিয়ান ঋণ পরিশোধ করলে চুক্তির অধীন অর্থের চেয়ে প্রায় ৫৫ হাজার কোটি টাকা বেশি দিতে হবে। ডলারের বিনিময় হার আরও বাড়লে ঋণের পরিমাণ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সরকারের নেওয়া বিদেশি ঋণের স্থিতি প্রায় ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা জিডিপির ১৬.১৯ শতাংশ। আগামী ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া নতুন অর্থবছর শেষে এই ঋণের স্থিতি প্রায় ৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়াবে।
গত অর্থবছরে সরকার আসল পরিশোধে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি ব্যয় করেছে। চলতি অর্থবছরের জুন শেষে এই পরিমাণ বেড়ে ২.৬১ বিলিয়ন ডলার হবে।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছর শেষে বিদেশি ঋণের আসলের কিস্তি পরিশোধে সরকারকে প্রায় ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করতে হবে। নতুন করে কোনো ঋণ না নিলেও কেবল ডলারের বিনিময় হার বেড়ে যাওয়ায় বিদেশি ঋণ বাবদ কিস্তি পরিশোধের ব্যয় বাড়বে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ বলেন, বৈদেশিক ঋণ এখন সরকারের সামনে দুই ধরনের ঝুঁকি তৈরি করছে: সুদের হারসংক্রান্ত ঝুঁকি এবং বিনিময়হার-সংক্রান্ত ঝুঁকি। ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়ায় একই ঋণের বিপরীতে বেশি পরিমাণ টাকা দিতে হচ্ছে সরকারকে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে যে পরিমাণ বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ করা হয়েছে, সেগুলোর গ্রেস পিরিয়ড শেষ হওয়ায় আসল ও সুদ একযোগে পরিশোধ করতে হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চার বছর আগেও যেখানে ১ ডলার ঋণ পরিশোধে স্থানীয় মুদ্রায় ৮০ থেকে ৮৫ টাকা ব্যয় হতো, এখন সেখানে ১২২ থেকে ১২৫ টাকা ব্যয় হচ্ছে। এটি সরকারের আর্থিক সক্ষমতায় বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করছে। বিশেষ করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো মেগা প্রকল্পের ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে রূপপুর প্রকল্পের জন্য যখন ১ হাজার ২৬৫ কোটি ডলার ঋণ নেওয়া হয়, তখন ডলারের বিপরীতে টাকার মান ছিল ৭৮-৭৯ টাকা। সেই সময়ে স্থানীয় মুদ্রায় ঋণের পরিমাণ ছিল ৯৮ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা। কিন্তু বর্তমানে ডলারের মান ১২২ টাকা হওয়ায়, ঋণের পরিমাণ বেড়ে ১ লাখ ৫৪ হাজার কোটি টাকায় উঠেছে। এর ফলে শুধু বিনিময় হারের কারণে এই একটি প্রকল্পে প্রায় ৫৫ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করতে হবে।
বাজেটের সঙ্গে দেওয়া অর্থ মন্ত্রণালয়ের সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতিতে বিদেশি ঋণের ঝুঁকির বিষয়টি তুলে ধরে বলা হয়েছে, মেয়াদপূর্তি, গ্রেস পিরিয়ড শেষ হওয়া এবং টাকার অবমূল্যায়নের কারণে আগামী বছরগুলোতে ঋণ পরিশোধের চাপ আরও বাড়বে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: খেলাটি মোবাইলে সরাসরি(LIVE) দেখুন
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: খেলাটি ফ্রিতে সরাসরি(LIVE) দেখুন
- আজ বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় টি-টোয়েন্টি: যেভাবে দেখবেন লাইভ (LIVE)
- ডিএসই’র দুই ব্রোকারেজের ট্রেডিং লাইসেন্স বাতিল
- বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় টি-২০: কবে, কখন, কোথায়-যেভাবে দেখবেন খেলাটি
- আজ বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ: কখন, কোথায়-যেভাবে দেখবেন সরাসরি(LIVE)
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া:কখন, কোথায়-যেভাবে দেখবেন লাইভ
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: খেলাটি সরাসরি ফ্রিতে দেখুন(LIVE)
- মার্জিন রুল থেকে মিউচুয়াল ফান্ড—সবখানেই আসছে বড় পরিবর্তন
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে অগ্নী সিস্টেমস
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে সিমটেক্স ইন্ডাষ্ট্রিজ
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে তালিকাভুক্ত২৪ কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে জেএমআই হসপিটাল
- নেগেটিভ ইকুইটি মুক্ত করতে মার্জিন ঋণে তালা মারছে বিএসইসি
- এবারও বিনিয়োগকারীদের হতাশ করল মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজ
 
                         
                    -300x200.jpg) 
             
             
            -300x200.jpg) 
             
             
             
            -300x200.jpg) 
             
            -100x66.jpg) 
                    -100x66.jpg) 
                    