ঢাকা, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২
মাসের ব্যবধানে ২০ শতাংশের বেশি দর বেড়েছে ৬ শেয়ারের

দরপতন থেকে বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরানোর লক্ষ্যে তৎপর রয়েছে সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন ইসূতে দেশের শেয়ারাজারে কখনো ধারাবাহিক দরপতন হচ্ছে। আবার কখনো ধারাবাহিক উত্থান হচ্ছে এবং লেনদেন কমছে, আবার বাড়ছেও। মিশ্র এই প্রবণতার মধ্যে গত এক মাসে ব্যবধানে ২০ শতাংশের বেশি দর বেড়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৬ কোম্পানির শেয়ারের। ডিএসইর বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিগুলো হলো- দেশ গার্মেন্টস, লাভেলো আইস্ক্রিম, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, স্টাইল ক্র্যাফট, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস এবং রহিমা ফুডস।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে দেশ গার্মেন্টসের। গত এক মাসে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৩৯ টাকা ৪০ পয়সা বা ৬২.৯৪ শতাংশ। এক মাসে কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দর ছিল ৫৯ টাকা ৬০ পয়সা। আজ এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ দর দাঁড়িয়েছে ১০২ টাকায়।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর বেড়েছে লাভেলো আইস্ক্রিমের। গত এক মাসে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৭৮ টাকা ৩০ পয়সা বা ৩২ শতাংশ। গত এক মাসে কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দর ছিল ৭৮ টাকা ৩০ পয়সা। আজ এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ দর দাঁড়িয়েছে ১০৪ টাকা ৮০ পয়সায়।
তৃতীয় সর্বোচ্চ দর বেড়েছে সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের। গত এক মাসে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৭ টাকা ৬০ পয়সা বা ২৭.৭৪ শতাংশ। গত এক মাসে কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দর ছিল ২৪ টাকা ৬০ পয়সা। আজ এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ দর দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকায়।
গত এক মাসে স্টাইল ক্র্যাফটের শেয়ার দর বেড়েছে ১৩ টাকা ৩০ পয়সা বা ২৬.৩৯ শতাংশ। গত এক মাসে কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দর ছিল ৪৭ টাকা ৪০ পয়সা। আজ এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ দর দাঁড়িয়েছে ৬৩ টাকা ৭০ পয়সায়।
গত এক মাসে ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের শেয়ার দর বেড়েছে ৪৮৮ টাকা ১০ পয়সা বা ২৩.৯৫ শতাংশ। গত এক মাসে কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দর ছিল ২ হাজার ৩৮ টাকা ১০ পয়সা। গত ১৮ জুন এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ দর দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৮৮ টাকা ৯০ পয়সায়। আজ কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার ২ হাজার ৫২৬ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
গত এক মাসে রহিমা ফুডের শেয়ার দর বেড়েছে ১৪ টাকা ৪০ পয়সা বা ২১.০২ শতাংশ। গত এক মাসে কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দর ছিল ২ হাজার ৬৪ টাকা ৯০ পয়সা। আজ এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ দর দাঁড়িয়েছে ৮২ টাকা ৯০ পয়সায়।
আলোচ্য ৬টি শেয়ারের দর বৃদ্ধি বাজারের নির্দিষ্ট কিছু খাতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। এটি প্রমাণ করে যে, সামগ্রিক বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে থাকলেও সুনির্দিষ্ট কিছু কোম্পানির শক্তিশালী পারফরম্যান্স বিনিয়োগকারীদের জন্য আশার আলো দেখাচ্ছে এবং একটি ইতিবাচক বিনিয়োগ পরিবেশ তৈরিতে ভূমিকা রাখছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- তালিকাভুক্ত কোম্পানির ১৫ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- বিমা আইন সংস্কার: বিনিয়োগ ও আস্থায় নতুন দিগন্ত
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- শেয়ারবাজারে রেকর্ড: বছরের সর্বোচ্চ দামে ১৭ কোম্পানি
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- আট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি
- পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- ব্যাখ্যা শুনতে ডাকা হচ্ছে শেয়ারবাজারের পাঁচ ব্যাংককে