ঢাকা, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২

ইরানে জিপিএস সংকেত বিপর্যয়, জাহাজ চলাচলে বিভ্রান্তি

ডুয়া নিউজ- আন্তর্জাতিক
২০২৫ জুন ২৩ ১৭:১৯:৩৭
ইরানে জিপিএস সংকেত বিপর্যয়, জাহাজ চলাচলে বিভ্রান্তি

ইরানের টোম্বাক বন্দরের আশপাশে নৌযান চলাচলের সময় জিপিএস ট্র্যাকিংয়ে বেশ কিছু অস্বাভাবিকতা দেখা গেছে। ট্র্যাকিং পর্যবেক্ষণে ধরা পড়েছে, অনেক জাহাজ স্থলভাগে গোলাকৃতি সারিতে অবস্থান করছে। একই ধরনের দৃশ্য দেখা গেছে বন্দরের উপকূলবর্তী এলাকাতেও।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি একটি ‘জিপিএস সংকেত বিকৃতি’ বা ‘সংকেত বিপর্যয়’-সংক্রান্ত কৌশল, যা আধুনিক সময়ের যুদ্ধবিদ্যায় একটি নতুন ও জটিল মাত্রা যোগ করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুদ্ধের ধরন পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এই সংকেত বিকৃতি বড় ধরনের প্রযুক্তিগত হুমকিতে পরিণত হয়েছে।

জিপিএস সংকেত বিপর্যয় সাধারণত দুইভাবে ঘটে। একটি হলো ‘সংকেত দমন’, যেখানে জাহাজ বা বিমানের অবস্থান নির্ণায়ক যন্ত্রের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। অন্যটি ‘মিথ্যা সংকেত পাঠানো’, যাতে করে সংশ্লিষ্ট যানবাহনকে ভুল তথ্য দিয়ে তাদের প্রকৃত অবস্থান থেকে সরিয়ে অন্য কোথাও পৌঁছে দেওয়া হয়।

এ ধরনের কৌশল ব্যবহারের পেছনে মূলত সামরিক উদ্দেশ্য কাজ করে। ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র যেন নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছাতে না পারে, সে উদ্দেশ্যে এই কৌশল প্রয়োগ করা হয়। একইসঙ্গে, শত্রু পক্ষের জাহাজ বা অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুর অবস্থান আড়াল করতেও এটি ব্যবহৃত হচ্ছে।

তবে টোম্বাক বন্দরের সংকেত বিপর্যয়ের জন্য কে দায়ী, তা এখনো স্পষ্ট নয়। যদিও বিশ্লেষকদের ধারণা, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনার পর থেকেই উপসাগরীয় অঞ্চলে এই ধরনের ঘটনার সংখ্যা বেড়েছে।

বিশ্বখ্যাত নৌ-পরিবহন বিশ্লেষণ সংস্থা উইন্ডওয়ার্ড জানিয়েছে, চলতি মাসের শুরু থেকে উপসাগরীয় অঞ্চলে এক হাজারের বেশি নৌযান এই সংকেত বিপর্যয়ের শিকার হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, এটি শুধু সামরিক ক্ষেত্রে নয়, বরং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার দিক থেকেও একটি গুরুতর হুমকি তৈরি করছে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত