ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২
এনবিআরে কাফনের কাপড় পরে কলম বিরতি
.jpg)
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান (এনবিআর) মো. আবদুর রহমানকে অপসারণ, কর্মকর্তাদের হয়রানি ও অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আবারও শুরু হয়েছে কলম বিরতি। সোমবার (২৩ জুন) আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কলম বিরতি পালনের সময় কাফনের কাপড় পরে হাজির হয়েছেন।
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সকাল থেকে এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হাজির হতে থাকেন। এ সময় তাদের হাতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে। যেখানে দেখা গেছে ‘গোলামী আইন বাতিল কর, করতে হবে’ ‘বদলির নামে প্রহসন মানি না, মানবো না’ ‘বদলির নামে জুলুমবাজি বন্ধ করতে হব ’ ইত্যাদি লেখা ছিল।
রোববার (২২ জুন) এনবিআরের আয়কর বিভাগে উপকর কমিশনার পর্যায়ের পাঁচ কর্মকর্তার রদবদল নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের দাবি, চলমান আন্দোলন দমন করতেই এই বদলির পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নেতারা বলেন, সরকারি নীতিমতে ঢাকার বাইরে বদলির ক্ষেত্রে কমপক্ষে পাঁচ কর্মদিবসের সময়সীমা থাকার কথা থাকলেও এনবিআরের সাম্প্রতিক আদেশে তা মানা হয়নি।
এর আগে ২১ জুন শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঘোষণা দেন, সোমবার (২৩ জুন) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকাসহ সব দপ্তরে তারা অবস্থান কর্মসূচি ও কলম বিরতিতে যাবেন। কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ নিজ দপ্তরেও একই সময় ধরে আন্দোলনে অংশ নেন।
প্রসঙ্গত, সরকার গত ১২ মে এনবিআরকে দুটি পৃথক বিভাগে ভাগ করে একটি অধ্যাদেশ জারি করে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এনবিআরের আওতাধীন কর্মকর্তারা ২৬ মে পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেন। তবে অর্থমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ২৫ মে রাতে জানানো হয়, এনবিআর বিলুপ্ত করা হচ্ছে না; বরং এটি একটি স্বাধীন ও বিশেষায়িত বিভাগে উন্নীত হবে। এই ব্যাখ্যার ভিত্তিতে ২৬ মে আন্দোলন স্থগিত করা হলেও এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ চেয়ারম্যানের অপসারণ এবং তার সঙ্গে অসহযোগিতার ঘোষণা দেয়।
পরবর্তীতে, সরকার ২০ জুন এনবিআরের কাঠামোগত সংস্কার তদারকিতে একটি ছয় সদস্যের সমন্বয় কমিটি গঠন করে, যার প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পান এনবিআর সদস্য ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী। কিন্তু ঐক্য পরিষদ এ কমিটির গঠন নিয়ে আপত্তি জানায়, কারণ এতে তাদের কোনো প্রতিনিধি নেই এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনাও করা হয়নি।
ঐক্য পরিষদের দাবি, এই সংস্কার কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের টার্গেট করে প্রতিহিংসামূলক বদলি ও হয়রানি শুরু হয়েছে। রাজস্ব ভবন ও আশপাশের এলাকায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার পরও সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে উত্তেজনা তৈরি করা হয়েছে। তারা সাফ জানিয়ে দেয়, এনবিআরের চেয়ারম্যানকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে।
সংগঠনটি আরও জানায়, এনবিআরের বর্তমান চেয়ারম্যান সরকারের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে নিয়োজিত আমলাদের একটি বিতর্কিত তালিকার অন্যতম ব্যক্তি। তার নেতৃত্বে কোনোভাবেই অর্থবহ সংস্কার সম্ভব নয় বরং তার মাধ্যমে সংস্কারের পথ বাধাগ্রস্ত হবে বলেই তাদের আশঙ্কা।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- হলে ঢাবি ছাত্রীর হঠাৎ অসুস্থতা, হাসপাতালে মৃত্যু
- মার্জিন ঋণে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না
- ‘পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস’
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে পাঁচ শেয়ার
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- ঢাবির হলে 'গাঁ’জার আসর', চার শিক্ষার্থীকে আটক
- ১২ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৯ খবর
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘লাল তালিকা’য় ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠান
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- বেক্সিমকো-বেক্সিমকো ফার্মাসহ চার ব্যক্তি-এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা-সতর্ক
- সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কিনছে আরব আমিরাতের কোম্পানি
- বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের নতুন কমিটির অভিষেক শনিবার
- ভালুকায় প্রথম পাঁচতারা হোটেল চালু করছে বেস্ট হোল্ডিংস