ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২
ডিএসসিসি প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে সারজিসের বিস্ফোরক তথ্য

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খাইরুল বাকেরের বিরুদ্ধে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, খাইরুল বাকেরের আনুমানিক ১৫০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ রয়েছে।
বুধবার (১৮ জুন) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, খাইরুল বাকেরের নামে-বেনামে অন্তত ৬০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পত্তি রয়েছে! স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি অনুযায়ী, তিনি আনুমানিক ১৫০০ কোটি টাকার মালিক।
অভিযোগ অনুযায়ী, খাইরুল বাকের নিকটাত্মীয়দের নিয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। তার পাঁচ ভাই, দুই ছেলে এবং স্ত্রী জেবুন নাহারের নামে ঢাকা ও নরসিংদীসহ অন্তত ১৩টি বাড়ি এবং ৬০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ রয়েছে।
সারজিস আলম আরও উল্লেখ করেন, ৫ই আগস্টের পূর্বে খাইরুল বাকের ছাত্র-জনতার বিপক্ষে একাধিক পোস্ট ও মন্তব্য করে "ফ্যাসিবাদী সরকারকে টিকিয়ে রাখতে" এবং ছাত্র আন্দোলনকে "বিতর্কিত ও প্রতিহত করার" চেষ্টা করেছিলেন।
সারজিস আলম জানান, খাইরুল বাকের একসময় অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন। তার বাবা মিন্নত আলী ছিলেন নৌকার মাঝি এবং কুলির কাজও করতেন। এমন দিন এনে দিন খাওয়া খাইরুল বাকের ২০০১ সালে সহকারী ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে যোগদানের পর থেকে "আলাদিনের চেরাগ হাতে পান"। এরপর থেকেই তার স্ত্রী ও পাঁচ ভাইদের সম্পত্তির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হতে থাকে।
এনসিপি নেতা অভিযোগ করেছেন, খাইরুল বিভিন্ন প্রকল্প থেকে ৫ শতাংশ কমিশনের বিনিময়ে বিভিন্ন প্রকল্পের অনুমোদন দিতেন। সারজিস আলমের লেখা অনুযায়ী, "ফ্যাসিবাদী সরকারের" আমলে খাইরুল বাকের নরসিংদী বেলাবো-মনোহরদী উপজেলার আওয়ামী লীগের অর্থদাতা ছিলেন। সাবেক শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা ছিল এবং সাবেক এই মন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারণায় খাইরুল বাকের অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা দিয়ে সহযোগিতা করারও অভিযোগ উঠেছে। তিনি বেলাবো ও মনোহরদী উপজেলার আওয়ামী লীগের অর্থদাতা হিসেবেও বেশ পরিচিত।
ছাত্রজীবনে খাইরুল বাকের চুয়েট (চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) শহীদ তারেক হুদা হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরবর্তীতে চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন বলেও সারজিস উল্লেখ করেন।
সারজিস আলম তার স্ট্যাটাসে আরও লেখেন, এই "আওয়ামী দোসর ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা" ৫ই আগস্টের পরেও স্বপদে বহাল রয়েছেন। এখন তিনি "ভোল পাল্টে অন্য দলের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে পদোন্নতি নিয়ে মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার ধান্দা করছেন!"
সারজিস আলম প্রশ্ন তুলেছেন, "এসব ডাকাতদের চেয়ারে বসিয়ে রেখে কিভাবে সংস্কার সম্ভব?"
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ডিভিডেন্ডের উপর উচ্চ কর: শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ
- বদলে গেছে ধারণা, বিস্মিত ইসরায়েল
- শেয়ারবাজারের শর্ত পূরণে ৬০ কোম্পানিকে বিএসইসির আল্টিমেটাম
- মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারের ১৩ ব্যাংকের
- ‘বিপর্যয় থেকে বিশ্ব মাত্র কয়েক মিনিট দূরে’
- নীলক্ষেত হোস্টেল থেকে ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর ম’রদেহ উদ্ধার
- ইরানকে হা-ম-লা বন্ধে প্রস্তাব
- ঢাবিতে হটাৎ ছাত্রলীগের বিক্ষোভ, ককটেল বি-স্ফো-র-ণ
- কারাগারে ফাঁসিতে ঝুললেন সেই অস্ত্রধারী আ’লীগ নেতা
- দুই বড় খবরের মধ্যে আজ খুলছে দেশের শেয়ারবাজার
- মূলধনের বেশি রিজার্ভ জ্বালানি খাতের ১৪ কোম্পানির
- লন্ডন ছাড়ছেন তারেক রহমান
- শেয়ারবাজারে হাজার কোটির ক্লাবে ব্যাংকবহির্ভূত ৬ কোম্পানি
- জেরুজালেম ও তেল আবিবে বড় বিস্ফোরণ, ট্রাম্পের জরুরি বৈঠক
- ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাবিতে ক্লাস ছুটি কতদিন, যা জানা গেল