ঢাকা, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২

সচিবালয়ে বিক্ষোভ

আসতে পারে কঠোর কর্মসূচি

ডুয়া নিউজ- জাতীয়
২০২৫ জুন ১৮ ১৬:৩০:৩৭
আসতে পারে কঠোর কর্মসূচি

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আজ বুধবারও সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেছেন সরকারি কর্মচারীরা। তাঁরা বাদামতলায় জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের বিভিন্ন অংশে ঘুরে বেড়ান।

এর আগে কর্মচারী নেতারা বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে আলাদা মিছিল নিয়ে বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে আজকের সমাবেশে কর্মচারীদের উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে কম দেখা গেছে।

এ সময় তারা ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, সচিবালয় জেগেছে’, ‘মানি না মানব না, ফ্যাসিবাদী কালো আইন’, ‘মানি না মানব না, অবৈধ কালো আইন’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘এসো ভাই এসো বোন, গড়ে তুলি আন্দোলন’, ‘সারা বাংলার কর্মচারী, এক হও লড়াই করো’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছিলেন।

বিক্ষোভ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. নূরুল ইসলাম বলেন, “প্রত্যেকটা মানুষ সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিল চায়। ফলে কোনো সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন আমরা মানব না। এখন পর্যন্ত আমরা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ডাক পাইনি। যদিও পর্যালোচনা কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে সুপারিশ দিতে।”

তিনি আরও বলেন, “কর্মচারীদের দাবি সংবলিত পোস্টার যারা ছিঁড়েছে সিসিটিভির মাধ্যমে তাদের শনাক্ত করে আমরা তাদের পরিচয় প্রকাশ করব। যার যার জায়গা থেকে পোস্টার ব্যানার লিফলেট তৈরি করে পুরো সচিবালয়ে সাঁটিয়ে দিতে হবে।”

নূরুল বলেন, “ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারকে চোরাবালিতে আটকে ফেলার জন্য ফ্যাসিস্ট সরকারের কিছু আমলারা এই আইন তৈরি করেছে, আমরা তাদের চিহ্নিত করেছি। যদি আজকে দিনের মধ্যে তাদের প্রত্যাহার করা না হয় তাহলে এমনও হতে পারে বিভাগীয় সম্মেলনের থেকেও কঠোর কর্মসূচি আমরা ঘোষণা করব। আমরা সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই কিন্তু আমাদের বন্দী করে আপনারা শান্তিতে দেশ পরিচালনা করতে পারবেন এটা কি হতে পারে? আমরা হলাম বিল্ডিংয়ের ফাউন্ডেশন। যদি ফাউন্ডেশনটাই উপড়ে ফেলেন তাহলে আপনারা কীভাবে কাজ করবেন?”

আগামীকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের চার নম্বর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে ওই ভবনে গণসংযোগের কর্মসূচি ঘোষণা করেন নূরুল ইসলাম। তিনি বলেন, “আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। আগামী রোববার আমরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।”

সরকার গত ২৫ মে একটি নতুন সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ জারি করে। যেখানে চার ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধে বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধুমাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করার বিধান রাখা হয়েছে। তবে এই অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশের আগ থেকেই সচিবালয়ের কর্মচারীরা এর বিরোধিতা করে আন্দোলনে নামেন।

অধ্যাদেশ জারির পর কর্মচারীরা সচিবালয়ে নজিরবিহীন বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে, পাশাপাশি প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন। পরে তাঁরা উপদেষ্টাদের কাছে স্মারকলিপিও প্রদান করেন।

কর্মচারী নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর ভূমি সচিবের নেতৃত্বে কয়েকজন সচিব তাঁদের দাবিদাওয়ার বিষয়টি মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে জানান। পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। এর প্রেক্ষিতে সরকার ৪ জুন আইন উপদেষ্টাকে প্রধান করে একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

আসতে পারে কঠোর কর্মসূচি

আসতে পারে কঠোর কর্মসূচি

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আজ বুধবারও সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেছেন সরকারি কর্মচারীরা। তাঁরা বাদামতলায় জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের... বিস্তারিত