ঢাকা, শুক্রবার, ৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

দেশের কিছু মিডিয়া প্রোপাগান্ডা সেলে পরিণত হচ্ছে: সারজিস

ডুয়া নিউজ- জাতীয়
২০২৫ জুন ০৪ ১৪:৫৬:০৪
দেশের কিছু মিডিয়া প্রোপাগান্ডা সেলে পরিণত হচ্ছে: সারজিস

দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম দিন দিন প্রোপাগান্ডা সেলে পরিণত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

আজ বুধবার দুপুরে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে সারজিস বলেন, ‘দেশের প্রথম সারির কিছু পত্রিকা ও মিডিয়া হাউজ শুধুমাত্র টিআরপি আর ব্যাকডোর নেগোসিয়েশনের কারণে দিনে দিনে প্রোপাগান্ডা সেলে পরিণত হচ্ছে।’

এর আগে মঙ্গলবার দৈনিক সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত এক সংবাদে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একটি ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করা হয়। ওই সংবাদে শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এম মনসুর আলীর মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল করেছে অন্তবর্তীকালীন সরকার এমন সংবাদ প্রকাশ করা হয়।

কিন্তু গতকাল মধ্যরাতে অন্তবর্তীকালীন সরকারের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার অর্থাৎ মুজিবনগর সরকারের যাঁরা সদস্য ছিলেন তারা বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত হবেন।’

এই বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজমও স্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছেন আজ বুধবার। তিনি বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিলের খবরটি সঠিক নয়। তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন।

বুধবার (৪ জুন) সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

ফারুক-ই-আজম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মো. মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামান মুক্তিযোদ্ধা। মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারাও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবে। যারা সশস্ত্রভাবে মুক্তিযুদ্ধ করেছে, যারা পরিচালনা করেছে তারা মুক্তিযোদ্ধা। তবে ওই সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন।

উপদেষ্টা বলেন, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রসহ কূটনীতিকরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা। সহযোগী মানে এ নয় যে তাদের সম্মান ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকলেও এটি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। বীর মুক্তিযোদ্ধার নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ করে তা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইনের সংশোধিত অধ্যাদেশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকলেও এটি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে।

ফারুক-ই-আজম বলেন, ১৯৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধার যে সংজ্ঞা ছিল সেটাই বাস্তবায়ন করেছেন। ২০১৮ ও ২০২২ সালে এটা পরিবর্তন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী দুইয়েরই সম্মান, মর্যাদা, সুযোগ-সুবিধা একই থাকবে। জাতিগতভাবে মুক্তিযুদ্ধ না করলে আমরা স্বাধীন হতে পারতাম না। মুক্তিযুদ্ধের চেয়ে গৌরব আমাদের জাতির ইতিহাসে আর কিছু হয়নি।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত