ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

শেয়ারবাজারে একযোগে আঘাত হেনেছে ১৭ কোম্পানি

ডুয়া নিউজ- শেয়ারবাজার
২০২৫ মে ২৮ ১৮:৩৬:৫৪
শেয়ারবাজারে একযোগে আঘাত হেনেছে ১৭ কোম্পানি

দেশের শেয়ারবাজারে আজ বুধবার (২৮ মে) আবারও বড় ঝাঁকুনি দেখা গেছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে প্রায় ৬৩ পয়েন্ট, যা সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে অন্যতম বড় পতন। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এই পতনের জন্য প্রধানত দায়ী ১৭টি কোম্পানির সম্মিলিত নেতিবাচক প্রভাব।

এই ১৭ কোম্পানি একযোগে সূচকে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে ৪০ পয়েন্টের মতো। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সূচক কমানোর ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিল ইসলামী ব্যাংক, ওয়ালটন হাইটেক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক এবং বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো।

শুধু ইসলামী ব্যাংকই সূচক কমিয়েছে ৫.৩৫ পয়েন্ট, যা এককভাবে সর্বোচ্চ। ওয়ালটন হাইটেক সূচকে পতন ঘটিয়েছে ৫.২৮ পয়েন্ট, আল-আরাফা ব্যাংক ৪.৩৪ পয়েন্ট এবং বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো ৩.৯২ পয়েন্ট। এই চারটি কোম্পানিই বাজারে বড় মূলধনী শেয়ার হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় এদের দরপতন সূচকের ওপর বড় প্রভাব ফেলেছে।

বাকি ১৩টি কোম্পানি ৩ পয়েন্ট থেকে ১ পয়েন্টের বেশি সূচকের পতনে ভূমিকা রেখেছে। এই ১৭টি কোম্পানির মধ্যে ১৪টি কোম্পানিই ব্যাংক খাতভুক্ত, যা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় ব্যাংক খাতের দুরবস্থার প্রভাব কতটা ভয়াবহভাবে বাজারকে আঘাত করেছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংক আর্থিক দুর্বলতা ও প্রভিশন ঘাটতির কারণে তালিকাভুক্ত ১৮টি ব্যাংককে ডিভিডেন্ড ঘোষণা ও বিতরণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আজ এই ঘোষণার সরাসরি প্রতিক্রিয়া বাজারে দেখা যাচ্ছে, যেখানে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থাহীনতা ছড়িয়ে পড়েছে।

ব্যাংক খাতের সঙ্গে আজ যুক্ত হয়েছে ওয়ালটন হাইটেক, বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো ও তিতাস গ্যাসের মতো কোম্পানিও। ফলে ব্যাংক খাতের নেতিবাচক প্রভাব অন্য খাতেও ছড়িয়ে পড়ছে, যেটিকে বাজারে একটি ‘চেইন রিঅ্যাকশন’হিসেবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।

এদিন ডিএসইতে মোট ৩৭৮টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র ৬৩টির শেয়ার দর বেড়েছে, আর ২৯৫টির দর কমেছে। এই চিত্র বিনিয়োগকারীদের হতাশা এবং পুঁজি হারানোর প্রবণতা তুলে ধরে। বাজার পরিস্থিতি দিনদিন জটিল হয়ে উঠছে এবং এটি সামাল দিতে দ্রুত ও সুস্পষ্ট নীতিগত পদক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত