ঢাকা, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

‘প্রতিদিন সচিবালয়ে এক ঘণ্টা কর্মবিরতি চলবে’

ডুয়া নিউজ- জাতীয়
২০২৫ মে ২৮ ১৫:১০:০৪
‘প্রতিদিন সচিবালয়ে এক ঘণ্টা কর্মবিরতি চলবে’

সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সচিবালয়ে প্রতিদিন এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করা হবে বলে জানিয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম।

বুধবার (২৮ মে) সচিবালয়ে ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানান, সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত চলবে এই কর্মবিরতি। একইসঙ্গে দেশের অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানেও এই কর্মসূচি পালন করা হবে।

এর আগে সকালে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ জানান, আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো মন্ত্রিপরিষদ সচিব অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করবেন। তিনি বর্তমানে জাপানে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে রয়েছেন এবং আগামী ৩১ মে দেশে ফিরবেন। তারপর বিষয়টি নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ-২০২৫ সংক্রান্ত সমস্যার বিষয়ে সাত সচিবের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে আন্দোলনকারী কর্মচারীদের দাবিসমূহ তুলে ধরা হয়েছে।

ভূমি সচিব আরও বলেন, কর্মচারীদের বক্তব্য ও দাবিগুলো মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পেশ করা হয়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

অন্যদিকে, ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি মূল্যায়ন করে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি ঠিক করা হবে। জারি করা গেজেট- সচিবালয়ে কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যেই ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। অধ্যাদেশে চার অপরাধের জন্য চাকরিচ্যুতির বিধান রাখা হয়েছে। তারা এ অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারীদের চারটি বিষয়কে অপরাধের আওতাভুক্ত করা হয়।

সেগুলো হলো— কোনো সরকারি কর্মচারী যদি এমন কোনো কাজে লিপ্ত হন, যা অনানুগত্যের শামিল বা যা অন্য যেকোনো সরকারি কর্মচারীর মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করে বা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধার সৃষ্টি করে, অন্যান্য কর্মচারীর সঙ্গে সমবেতভাবে বা এককভাবে ছুটি ছাড়া বা কোনো যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া নিজ কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকেন বা বিরত থাকেন বা কর্তব্য সম্পাদনে ব্যর্থ হন, এছাড়া কোনো কর্মচারীকে তার কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকতে বা বিরত থাকতে বা তার কর্তব্য পালন না করার জন্য উসকানি দেন বা প্ররোচিত করেন এবং যেকোনো সরকারি কর্মচারীকে তার কর্মে উপস্থিত হতে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধাগ্রস্ত করেন, তাহলে তিনি অসদাচরণের দায়ে দণ্ডিত হবেন।

অধ্যাদেশে বলা হয়, অভিযোগ গঠনের সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হবে। আর অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হলে তাকে কেন দণ্ড আরোপ করা হবে না, সে বিষয়ে আরও সাত কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হবে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) বৈঠকে সংশোধিত সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ। যা গত রোববার সন্ধ্যায় গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত