ঢাকা, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
সচিবালয়ে বিক্ষোভকারীদের নিয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, সচিবালয়ে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা বিগত সরকারের সমর্থক। সোমবার সকালে চট্টগ্রামের ২ নম্বর গেট বিপ্লব উদ্যানে আয়োজিত এক পথসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
জুলাই হত্যার বিচারের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো জনমত গড়ার লক্ষ্যে এ পথসভার আয়োজন করে জাতীয় নাগরিক পার্টি। সভায় এনবিআরকে ‘দুর্নীতির আঁতুড়ঘর’ বলেও আখ্যা দেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, সরকারি সংস্কার কাজে বাধা দিলে জনগণই তার বিকল্প খুঁজে নেবে।
হাসনাত অভিযোগ করেন, এখন সচিবালয়ের যেসব কর্মকর্তারা আন্দোলন করছেন, তারাই ৫ আগস্টের আগে বিগত সরকারকে সমর্থন দিয়েছিল।
এ সময় রাষ্ট্র সংস্কারে বাধা দেওয়া হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। উল্লেখ্য ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সোমবার বেলা ১১টার দিকে তারা সচিবালয়ের বাদামতলায় একত্রিত হয়ে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিক্ষোভে অংশ নেন।
এর আগে রোববার (২৫ মে) দ্বিতীয় দিনের মতো সচিবালয়ের ভেতর বিক্ষোভ করেন কর্মচারীরা। তারা এই অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানান। দাবি না মানলে লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।
রোববার সকাল ১০টায় সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর ও মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিবাদ মিছিল সচিবালয়ের বিভিন্ন অংশ প্রদক্ষিণ করে এবং শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়।
বিক্ষোভকারীরা জানান, সম্প্রতি যে সংশোধিত আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে, তা সরকারি কর্মচারীদের ওপর দমন-পীড়ন চালানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। এ ‘কালো আইন’ বাতিলের পাশাপাশি তারা সচিবালয় ভাতা ও রেশন চালুর দাবিও জানিয়েছেন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়ারা বলেন, কালাকানুন যুক্ত করে প্রণীত অধ্যাদেশ কেউ মানবে না। ১৯৭৯ সালের সরকারি চাকরির বিশেষ বিধান ইতোমধ্যে দেশের সর্বোচ্চ আদালত বাতিল করেছেন। এই বাতিল বিধান পুনরুজ্জীবিত করার মানে নতুনভাবে বিতর্ক তৈরি করা। বর্তমান সরকার সেই কাজটিই করেছে। এর ফলে কর্মচারীদের অধিকার খর্ব হবে, তারা কর্মকর্তাদের রোষানলে পড়বে। কাজেই এই অধ্যাদেশ বাতিল করতে হবে। অন্যথায় যে কোনো মূল্যে এটা প্রতিহত করা হবে। প্রয়োজনে তারা আইন মন্ত্রণালয়ের সব রুমে তালা দেবেন বলে ঘোষণা করে
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বাতিল হচ্ছে ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স, তালিকায় শেয়ারবাজারের ১৪টি
- ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ১.৪ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার বিক্রির ঘোষণা
- শেয়ারবাজারের ৬৬ কোম্পানির প্রতি বিএসইসি’র কঠোর বার্তা
- গভীর রাতে ঢাবি শিবির সভাপতির ফেসবুক পোস্টে তোলপাড়
- বনানীতে ঢাবির সাবেক ছাত্রীর ম’রদেহ উদ্ধার
- শেয়ারবাজারের ১৮ ব্যাংককে ডিভিডেন্ড না দেওয়ার নির্দেশ
- ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি, তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব
- ঢাবির পীরগাছা উপজেলা সংগঠনের নেতৃত্বে রবিউল ও সৈকত
- ড. ইউনূসকে ‘আক্রমণ’!
- নানামুখী চেষ্টার পরও ভেঙে পড়ছে দেশের শেয়ারবাজার
- জেড ক্যাটাগরি ও ন্যুনতম শেয়ারধারণে ব্যর্থ কোম্পানিতে বসছে স্বতন্ত্র পরিচালক
- ঈদের ছুটি নিয়ে নতুন প্রস্তাবনা
- মন্দার বাজারে আলো ছড়িয়েছে ২০ শেয়ার
- ফাঁস হলো হাসনাত-সার্জিসকে হ-ত্যার ভ'য়ঙ্কর পরিকল্পনা
- শেয়ারবাজার ধসের দায় চাপছে বিএসইসি নেতৃত্বের ওপর