ঢাকা, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২
‘সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান

ডুয়া ডেস্ক: ঢাকার সাতটি সরকারি কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত 'সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি' গঠনের উদ্যোগকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি সরকারের কাছে তারা তাদের ছয় দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের জোর আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ সোমবার (১৯ মে) বেলা ১২টায় কলেজের ছাত্র সংসদ ভবনের সামনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান শিক্ষার্থীরা।
লিখিত বক্তব্যে তারা জানান, ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে হাজারো শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের আত্মত্যাগে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে সম্মান জানিয়ে তারা তিতুমীর কলেজকে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবি আবারও উত্থাপন করেছেন। শহীদ ছাত্র মামুনের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে তারা বলেন, এ দাবি শুধু প্রয়োজন নয়, এটি ন্যায্যতার প্রতিফলন।
তাদের দাবি অনুযায়ী, গত ২১ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থায় জমা দেওয়া হয় ৯৪ পৃষ্ঠার একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন, যেখানে কলেজটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের যৌক্তিকতা ও জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার সম্ভাব্য ইতিবাচক প্রভাব তুলে ধরা হয়। যদিও সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রতিবেদনটি গ্রহণ করে, পরে সেটি 'হারিয়ে গেছে' বলে জানানো হয়। শিক্ষার্থীদের মতে, এটি ছিল অত্যন্ত দায়িত্বহীন ও অযৌক্তিক আচরণ।
৩ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে গঠিত হয় একটি পাঁচ সদস্যের যাচাই কমিটি কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি। উল্টো ২৯ ডিসেম্বর নতুনভাবে সাতটি কলেজকে নিয়ে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়, যেটিকে শিক্ষার্থীরা ‘একটি প্রহসন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
তারা আরও জানান, রাষ্ট্রের প্রতি সম্মান রেখে তারা নতুন কমিটির কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন এবং ৯ জানুয়ারি ইউজিসিতে ২২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল তাদের দাবি তুলে ধরে। এরই ধারাবাহিকতায়, ৩ ফেব্রুয়ারি সরকার সাত দফার ছয়টি দাবি গ্রহণ করে এবং এক সপ্তাহের মধ্যে বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো তা বাস্তবায়িত হয়নি।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, তাদের যৌক্তিক দাবিকে পাশ কাটিয়ে ‘সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামক বিকল্প একটি প্রস্তাব চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে, যা তারা "রাষ্ট্র ও শিক্ষা সিন্ডিকেটের প্রেসক্রিপশন" বলে উল্লেখ করে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেন।
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো:
সরকারি তিতুমীর কলেজের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় কাঠামো গঠন এবং ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকেই ভর্তি কার্যক্রম শুরু।
স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য জমি বরাদ্দ।
ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসন সংকট নিরসন।
শিক্ষক সংকট দূরীকরণ।
আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন গবেষণাগার ও গ্রন্থাগার নির্মাণ।
সহশিক্ষা ও গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ।
শিক্ষার্থীরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, যেন এসব দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিক্ষার উন্নয়ন ও ন্যায্যতার পথ সুগম করা হয়।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- চলতি সপ্তাহে বেক্সিমকোর ফ্লোর প্রাইস ওঠার সম্ভাবনা
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তার জালে তিন কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে তানিয়া শারমিন ও মাহবুব মজুমদার ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ
- চ্যাটজিপিটি ব্যবহারে ভয়াবহ বিপদ, গবেষণায় উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দামের জন্য ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শেয়ারবাজারের ৩ প্রতিষ্ঠানের ২৯৬ কোটি টাকা মানি লন্ডারিং
- শিক্ষার্থীদের আলোকিত ভবিষ্যত গড়তে পাশে থাকবে ঢাবি অ্যালামনাই
- ঢাবির ২০১৮-১৯ সেশনের অছাত্ররা হতে পারবেন না ভোটার-প্রার্থী
- ১০ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তার
- শোক সংবাদ পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন পলক
- ডিভিডেন্ড পেয়েছে চার কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ১৫ দিনে ১৭ প্রতিষ্ঠানে ২০ শতাংশের বেশি মুনাফা
- সর্বোচ্চ আগ্রহের তালিকায় ৪ খাতের শেয়ার
- বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ চাহিদার শীর্ষে ৭ কোম্পানি
- ১৬ জুলাই সরকারি ছুটি কি-না? যা জানা যাচ্ছে