ঢাকা, রবিবার, ১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১.৬১ বিলিয়ন ডলার

ডুয়া নিউজ- জাতীয়
২০২৫ মে ১৮ ১৯:১২:৩১
১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১.৬১ বিলিয়ন ডলার

ডুয়া ডেস্ক: বৈধ পথে দেশে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ক্রমেই বাড়ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে রেমিট্যান্সে ইতিবাচক ধারা আরও জোরালো হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের ইতিহাসে একক মাসে সর্বোচ্চ এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে যথাক্রমে গত মার্চ ও এপ্রিল মাসে।

এখন চোখ যাচ্ছে মে মাসের দিকে, কারণ চলতি মাসের প্রথম ১৭ দিনেই প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১.৬১ বিলিয়ন (১৬১ কোটি) মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৯ হাজার ৬৪২ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে দেশে আসছে ৯ কোটি ৪৭ লাখ ডলার বা ১ হাজার ১৫৫ কোটি টাকার বেশি। এই গতি বজায় থাকলে চলতি মাসে রেমিট্যান্স ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে—যা নতুন আরেকটি রেকর্ড গড়তে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, মে মাসের ১ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বৈধভাবে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬১ কোটি ডলার। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৯ কোটি ৩৩ লাখ ডলার, কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৫ কোটি ডলারের বেশি এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৯৬ কোটি ২৭ লাখ ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে আরও ৩১ লাখ ডলার।

তবে রেমিট্যান্স প্রবাহে পিছিয়ে রয়েছে কিছু ব্যাংক। চলতি মাসে এখনো পর্যন্ত ৯টি ব্যাংকে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এর মধ্যে রয়েছে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক ও সীমান্ত ব্যাংক পিএলসি। বিদেশি ব্যাংকের তালিকায় রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।

এর আগে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাসভিত্তিক রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল নিম্নরূপ:

জুলাই: ১৯১ কোটি ডলারআগস্ট: ২২২ কোটি ডলারসেপ্টেম্বর: ২৪০ কোটি ডলারঅক্টোবর: ২৩৯ কোটি ডলারনভেম্বর: ২২০ কোটি ডলারডিসেম্বর: ২৬৪ কোটি ডলারজানুয়ারি: ২১৯ কোটি ডলারফেব্রুয়ারি: ২৫৩ কোটি ডলারমার্চ: সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারএপ্রিল: দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭৫ কোটি ডলার

রেমিট্যান্স প্রবাহে এই ধারাবাহিকতা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং অর্থনীতির স্থিতিশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নিয়মিত হস্তক্ষেপ, উৎসাহদায়ক নীতিমালা এবং বৈধ চ্যানেলের ব্যবহার বাড়ার কারণে এ সাফল্য আসছে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত