ঢাকা, সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২
ভারত প্রস্তুত সেভেন সিস্টার্সে নতুন উদ্যোগ নেওয়ার জন্য
.jpg)
ডুয়া ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলেও বাংলাদেশ-ভারত এখন আর আগের মতো উষ্ণ নেই। বিশেষ করে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দুই দেশের কূটনৈতিক টানাপড়েন বাড়তে থাকে। এই টানাপড়েন কেবল কূটনীতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং সম্প্রসারিত হয়ে ভৌগোলিক কৌশলের ক্ষেত্রেও প্রতিফলিত হচ্ছে।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্য, যাদের ‘সেভেন সিস্টার্স’ নামে পরিচিত, সেই অঞ্চলের সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে নয়াদিল্লি। এই পরিকল্পনা ভারতের কৌশলগত গুরুত্ব বহন করে।
গত মার্চে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস চীন সফরে মন্তব্য করেন, বাংলাদেশ হলো ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একমাত্র ‘ওসিয়ান গার্ডিয়ান’। এই বক্তব্য ভারতীয় কূটনৈতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করে। ভারতের কৌশলবিদরা এটিকে ব্যাখ্যা করছেন, যেন নয়াদিল্লি ‘জলপথে জিম্মি’ হয়ে পড়েছে, যা তাদের কৌশলগত সুবিধাকে সীমাবদ্ধ করছে।
বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের এই নতুন টানাপড়েন ও কৌশলগত সংঘাত ভবিষ্যতে অঞ্চলের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
বর্তমানে ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য—যা 'সেভেন সিস্টার্স' নামে পরিচিত—সংযুক্ত রয়েছে একটি মাত্র করিডরের মাধ্যমে। এটি শিলিগুড়ি করিডর, ভূগোলবিদদের ভাষায় যাকে বলা হয় ‘চিকেনস নেক’। এই সংকীর্ণ করিডরের ওপরই ভারতের সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অর্থনৈতিক এবং সামরিক সরবরাহ নির্ভরশীল।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমার হয়ে যাওয়া আরও দুটি বিকল্প প্রবেশপথ থাকলেও, রাজনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক জটিলতার কারণে সেগুলো এখন কার্যত অনিশ্চিত।
এই বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে ভারত সরকার বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থা গঠনে সক্রিয় হয়েছে। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে যে প্রকল্পটি বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে তা হলো:
মেঘালয় থেকে আসাম পর্যন্ত চার লেনের হাইওয়ে নির্মাণ।শিলং থেকে শিলচর পর্যন্ত ১৬৬.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মহাসড়ক নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ₹২২,৮৬৪ কোটি। মহাসড়কটি চালু হলে বর্তমানে সাড়ে আট ঘণ্টার ভ্রমণ সময় কমে দাঁড়াবে মাত্র পাঁচ ঘণ্টায়। প্রকল্পটি ২০৩০ সালের মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কাজ চলছে।
কালাদান মাল্টিমডাল ট্রানজিট প্রজেক্টকলকাতা বন্দর থেকে মিয়ানমারের সিত্তে বন্দর পর্যন্ত সমুদ্রপথ, সেখান থেকে নদীপথে পালেতোয়া এবং এরপর সড়ক পথে মিজোরামের জোরিনপুই পর্যন্ত একটি সংযুক্ত ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। এতে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগে আর বাংলাদেশের ওপর নির্ভর করতে হবে না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের ওপর ভারতের নির্ভরশীলতা দীর্ঘদিন ধরে একটি কূটনৈতিক সুবিধা হিসেবে কাজ করেছে। কিন্তু এই নতুন উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশেষত বঙ্গোপসাগরের উপর বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণ এবং অভ্যন্তরীণ নৌপথ ব্যবহারের সীমাবদ্ধতা ভারতকে আরও বিকল্প পথ অনুসন্ধানে বাধ্য করছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ডিভিডেন্ড দিতে পারছে না বস্ত্র খাতের ১৩ কোম্পানি
- ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফিরেছে আর্থিক খাতের কোম্পানি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- ক্যাশ ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- সর্বোচ্চ উচ্চতায় ১৭ কোম্পানির শেয়ার
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৭ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে দুই কোম্পানির বাজিমাত
- গেস্ট হাউজ থেকে সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহ উদ্ধার
- ডিএসইর সতর্কবার্তার জালে দুর্বল দুই কোম্পানির শেয়ার
- রবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের মুখে গ্রামীণফোন
- ছাত্ররাজনীতি থাকবে কিন্তু কাঠামোগত পরিবর্তন আনতে হবে: বাগছাস
- শেখ সেলিমের ২১টি বিও অ্যাকাউন্ট ও ৩৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
- অতর্কিত ঢাবি ও জবির ৪ শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা