ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২

কুয়েটে ফের আন্দোলনের ডাক

ডুয়া নিউজ- বিশ্ববিদ্যালয়
২০২৫ মে ১৫ ১৯:০০:০৯
কুয়েটে ফের আন্দোলনের ডাক

ডুয়া ডেস্ক: কুয়েটে দীর্ঘদিন ধরেই অচল অবস্থা বিরাজ করছে। এমতাবস্থায় একাডেমিক কার্যক্রম শুরু, নিরপেক্ষ নতুন তদন্ত কমিটি গঠন ও পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অবস্থান নিয়ে আবারও আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা।

আজ বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে বিভিন্ন স্লোগানে স্লোগানে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে আসেন। পরে ভেতরে প্রবেশ করে ফ্লোরে বসে পড়েন তারা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, “শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে গত সোমবার ৩৭ শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় কুয়েট কর্তৃপক্ষ। ১৫ মে বিকেল ৫টার মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা ভিত্তিহীন।”

এ সময় তারা তদন্ত কমিটির বিরুদ্ধে প্রহসনের অভিযোগ তুলেছেন।

এক শিক্ষার্থী বলেন, “দ্রুত একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করতে হবে। একইসঙ্গে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন ও পাঁচ দফা দাবী আদায়ে রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। অন্যথায় আবারও কঠোর হওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।” কুয়েটের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করলেও এখনো সঙ্কটের সমাধান হয়নি।

অন্যদিকে, আজ সকাল ১১টা পর্যন্ত কোনো শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে ফেরেননি। এতে করে টানা ৮৬ দিন ধরে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘস্থায়ী এই অচলাবস্থার কারণে সেশনজট বেড়ে গেছে, ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ফারুক হোসেন বলেন, “আমরা শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ওপর হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই। শিক্ষার্থীদের পাঁচ দাবির যেটুকু এখনও বাস্তবায়ন হয়নি, তা বাস্তবায়ন করা হোক। তবে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত এবং কটূক্তি করা শিক্ষার্থীদেরও শাস্তি দিতে হবে।” শিক্ষকরা জানিয়েছেন, ১৫ মে বিকেল ৫টার মধ্যে পরিস্থিতির সুরাহা না হলে তারা প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকেও বিরত থাকবেন।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী বলেন, “শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে সংকট নিরসনের চেষ্টা করা হচ্ছে।” উল্লেখ্য, উল্লেখযোগ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও বহিরাগতদের সঙ্গে কুয়েট শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে দেড় শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। ওইদিন কিছু শিক্ষার্থী অপসারিত উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে ক্যাম্পাসের মেডিকেল সেন্টারে অবরুদ্ধ করে রাখেন এবং তাদের সঙ্গে থাকা কয়েকজন শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও গালিগালাজ করেন। এর পর থেকেই কুয়েটে একাডেমিক কার্যক্রম—ক্লাস, পরীক্ষা সবই বন্ধ রয়েছে। আগেই যেখানে প্রায় দেড় বছরের সেশনজট ছিল, সেখানে টানা আড়াই মাস একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সেশনজট আরও বেড়ে গেছে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত