ঢাকা, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২

ভারতের অহংকার চূর্ণ করা পাকিস্তানি নারী পাইলটের পরিচয়

২০২৫ মে ১৪ ১৯:৫৮:৪৫
ভারতের অহংকার চূর্ণ করা পাকিস্তানি নারী পাইলটের পরিচয়

ডুয়া ডেস্ক: গভীর রাত, চারদিকে নেমে এসেছে ঘন নিস্তব্ধতা। ঠিক এমন এক মুহূর্তে আকাশে গর্জে ওঠে ককপিটে প্রস্তুত অবস্থায় থাকা পাকিস্তানের আকাশজয়ী বাজপাখি আয়েশা ফারুকের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র। এক ঝলকে জ্বলে ওঠে পাকিস্তানের ক্ষিপ্রতা, নিখুঁত নিশানা—আর পরক্ষণেই ভারতের গর্ব, রাফাল, ভেঙে পড়ে ধ্বংসস্তূপে। পুরো অভিযানে সময় লাগে মাত্র ২৭ সেকেন্ড—আক্রমণ শুরু থেকে ধ্বংস ৮.৭ সেকেন্ডে, আর নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে মাত্র ৪ সেকেন্ড।

পাকিস্তান বিমানবাহিনীর সবচেয়ে চৌকশ নারী পাইলটের আক্রমণে দুমড়ে-মুচড়ে গেল শত্রুপক্ষের গর্ব রাফাল। শুধু ভারত নয়- সেদিন মাঝরাতের আকাশে চুরমার করে দিয়েছেন ফরাসি বিমানশিল্পের দাম্ভিক ইতিহাসও। আয়েশার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রেই বিশ্বে প্রথমবারের মতো ভূপাতিত হয় আকাশযুদ্ধের পশ্চিমা রাফাল।

এ ঘটনা নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সামরিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা, সংবাদমাধ্যম বিবিসি, নিউইয়র্ক টাইমস, এমনকি ফরাসি গণমাধ্যমও রাফাল ধ্বংসের বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আয়েশায় সেই পাইলট- পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম নারী যিনি সরাসরি শত্রু বিমানগুলো ভূপাতিত করেছেন। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনও এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

৬ মে রাতের আকাশে ভারতীয় রাফাল যুদ্ধবিমানকে ধ্বংস করে গোটা দক্ষিণ এশিয়াকে চমকে দেন পাকিস্তানের প্রথম যুদ্ধপ্রস্তুত নারী পাইলট আয়েশা। একটি এআইএম-১২০সি এএমআরএএএম ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, নারীরাও যে কোনো ক্ষেত্রে পুরুষদের থেকে কম নয়।

সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, এটি শুধু একটি সফল আকাশযুদ্ধ নয়- বরং নারী নেতৃত্ব, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও কৌশলগত চমৎকারিত্বের এক যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত।

জন্ম ও বেড়ে ওঠা

পাঞ্জাবের বাহাওয়ালপুরে আয়েশার জন্ম হয়। মাত্র তিন বছর বয়সে বাবা হারান। পরিবারে তখন শুধুই লড়াই আর সীমাবদ্ধতা। কিন্তু সেই পরিবেশেই আয়েশাকে একজন সাহসী, আত্মবিশ্বাসী ও স্বাধীনচেতা নারী হিসেবে গড়ে তোলেন তার মা। আত্মীয়স্বজনের আপত্তি আর সামাজিক বাধা ডিঙিয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নেন- তিনি হবেন একজন ফাইটার পাইলট।

আয়েশার সংগ্রামী যাত্রা

আয়েশার যাত্রা এতোটা সহজ ছিলো না। পাকিস্তানের রক্ষণশীল সমাজ এবং পুরুষপ্রধান পেশা হিসেবে পরিচিত বিমানবাহিনীতে নারীর প্রবেশ সহজ ছিল না। ফ্লাইট একাডেমিতে ভর্তি হওয়ার পর তাকে শুনতে হয়েছে নানা কটুকথা। অনেকেই ভাবতেন, তিনি সফল হতে পারবেন না।

কিন্তু নিজেকে প্রমাণ করতে গিয়ে আয়েশা পেছনে তাকাননি। কঠিন প্রশিক্ষণ, ১৪-১৮ ঘণ্টার পরিশ্রম, মানসিক চাপ-সব কিছু মোকাবিলা করেই হয়ে ওঠেন তিনি পাকিস্তানের সবচেয়ে দক্ষ পাইলটদের একজন।

এক সাক্ষাৎকারে আয়েশা বলেন, আমাকে নারী বলে কেউ আলাদা করে দেখেনি। এখানে সবাইকেই যোগ্যতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়। যুদ্ধবিমান চালানো কোনো বিলাসিতা নয়। এটা দায়িত্ব, এটা প্রতিজ্ঞা। তিনি জানান, প্রতিদিন ভোর ৪টায় দিনের শুরু হয়। ফ্লাইট, ব্রিফিং, প্রশিক্ষণ এবং বিশ্লেষণ মিলিয়ে প্রায় রাত ১২টা পর্যন্ত চলে কাজ।

কঠিন প্রশিক্ষণ

আয়েশা ফারুকের জন্য ফাইটার জেট পাইলট হওয়ার প্রশিক্ষণ ছিল অত্যন্ত কঠিন। তিনি বলেছেন, ‘শুরুর দিকে অনেকেই ভাবত আমি হয়তো পারব না। কিন্তু ওদের সন্দেহই আমাকে আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ করে তুলেছে।’

আয়েশা আরও বলেছেন, যুদ্ধবিমান চালানো কোনো সাধারণ চাকরি নয়। এটা কেবল বসে থাকার কাজ নয়। একটানা পরিশ্রম, মানসিক চাপ আর শারীরিক ফিটনেস সবকিছুতেই সেরা হতে হয়। আমাদের দিন শুরু হয় ভোর ৪টায়। কখনো কখনো রাত ১২টা পর্যন্ত কাজ চলে। আবার অনেক সময় রাতে উড়াল দেওয়ার শিডিউলও থাকে। তিনি প্রমাণ করেছেন, ইচ্ছা আর পরিশ্রম থাকলে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়।

সাহসিকতা আর সংগ্রামের প্রতীক

পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে গত দশ বছরে ১৯ জন নারী পাইলট হয়েছেন। যাদের মধ্যে মাত্র ৫ জন ফাইটার জেট চালাতে পারেন। কিন্তু আয়েশাই একমাত্র, যিনি যুদ্ধের জন্য চূড়ান্তভাবে প্রস্তুত। বর্তমানে পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে ৩১৬ জন নারী কাজ করছেন। যেখানে পাঁচ বছর আগে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ১০০।

মুশাফ বিমানঘাঁটিতে এক সাংবাদিককে আয়েশা বলেছেন, আমি আলাদা কিছু ভাবি না। আমরা সবাই এক। একই প্রশিক্ষণ, একই চ্যালেঞ্জ। আমাদের অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক অবস্থান এবং সন্ত্রাসবাদের হুমকির কারণে আমাদের সদাপ্রস্তুত থাকতে হয়।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে