ঢাকা, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২
অচল বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন

ডুয়া ডেস্ক: বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে চলছে দীর্ঘদিনের অচলাবস্থা। কমিশনের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ১১ দফা দাবিতে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। মূলত স্বায়ত্তশাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও বিভিন্ন প্রশাসনিক জটিলতা নিরসনের দাবিই রয়েছে তাদের আন্দোলনের কেন্দ্রে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি চর্চার বদলে বর্তমানে এসব বিজ্ঞানীরা আন্দোলনে ব্যস্ত। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে: কমিশনের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন, শূন্য পদে স্থায়ী নিয়োগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ, নিউক্লিয়ার তথ্যের গোপনীয়তা সংরক্ষণে কার্যকর নীতিমালা এবং সরকারের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় 'আইবাস প্লাস প্লাস'-এ অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আপত্তি। এছাড়া, আইডিএসডিপিতে বাধ্যতামূলক নিবন্ধন নিয়েও রয়েছে অসন্তোষ।
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি বিজ্ঞানী সংঘের সভাপতি ড. এ এস এম সাইফুল্লাহ বলেন, “আমরা উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আশ্বস্ত করলেও বাস্তবে কোনো অগ্রগতি চোখে পড়ছে না। বরং হস্তক্ষেপ বেড়েছে।”
অন্যদিকে, কমিশনের চেয়ারম্যান (চলতি দায়িত্বে) ড. মো. কামরুল হুদা জানান, “আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান খোঁজা হচ্ছে। সরকারকে সহযোগিতা করা আমাদের দায়িত্ব, কারণ সরকার আমাদের প্রতিপক্ষ নয়।”
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার সূত্রপাত গত বছরের ডিসেম্বর থেকেই হলেও এখনও মেলেনি কার্যকর সমাধান। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অর্থসংক্রান্ত বিষয় বিশেষ করে 'আইবাস প্লাস প্লাস'-এ সংযুক্তির বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন। বাকি দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন বলেন, “৮৭% অংশীদার সমস্যা দেখছে না। আমরা বলেছি বাকি ১৩% সমস্যা সমাধানে সহায়তা করব।”
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, পরমাণু শক্তির মতো স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ খাতে চলমান অচলাবস্থা দ্রুত নিরসন করা জরুরি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “গবেষণামূলক ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সরাসরি নজরদারি কাম্য নয়। স্বাধীনভাবে পরিচালনা করলেই কার্যকারিতা বাড়ে।”
আন্দোলনের প্রভাব ইতোমধ্যেই পড়েছে কমিশনের ২৮০টির বেশি সেবা কার্যক্রমে, যার মধ্যে রয়েছে আইসোটোপ উৎপাদন ও পরমাণু চিকিৎসা সেবাও।
সরকারের কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে দ্রুত এই অচলাবস্থা নিরসনের দাবি এখন সময়ের দাবি।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সম্ভাবনার নতুন দিগন্তে শেয়ারবাজারের খান ব্রাদার্স
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- মূলধন ঘাটতিতে দুই ব্রোকারেজ হাউজ, ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- চলতি বছর শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্রায়াত্ব দুই প্রতিষ্ঠান
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- সাকিবের মোনার্কসহ ৮ ব্রোকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- তালিকাভুক্ত কোম্পানির ১৫ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা
- বিমা আইন সংস্কার: বিনিয়োগ ও আস্থায় নতুন দিগন্ত
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- শেয়ারবাজারে রেকর্ড: বছরের সর্বোচ্চ দামে ১৭ কোম্পানি
- তিন শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি, ডিএসইর সতর্কবার্তা
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- ব্যাখ্যা শুনতে ডাকা হচ্ছে শেয়ারবাজারের পাঁচ ব্যাংককে
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা