ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২
সীমিত করা হলো বিদেশে ব্যাংকের সম্প্রসারণ, সুযোগ কেবল শেয়ারবাজারের উত্তমদের

সীমিত করা হলো বিদেশে ব্যাংকের সম্প্রসারণ, সুযোগ কেবল শেয়ারবাজারের উত্তমদের
ডুয়া নিউজ: বিদেশে শাখা, প্রতিনিধি অফিস বা সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্থাপনে কঠোর শর্ত জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সদ্য ঘোষিত নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, শুধুমাত্র আর্থিকভাবে স্থিতিশীল, অভিজ্ঞ এবং শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ‘এ’ ক্যাটাগরির ব্যাংকগুলোই দেশের বাইরে ব্যবসা পরিচালনার অনুমতি পাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বিদেশে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্যাংকের কমপক্ষে সাত বছরের কার্যকর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত রেটিংয়ে ‘শক্তিশালী’ বা ‘সন্তোষজনক’ মানদণ্ড অর্জন করতে হবে। ব্যাংকটি অবশ্যই শেয়ারবাজারে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত হতে হবে।
বর্তমানে কিছু দুর্বল ব্যাংক বিদেশে শাখা পরিচালনা করলেও নতুন নির্দেশনার ফলে তাদের ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক সম্প্রসারণের পথ অনেকটাই সীমিত হয়ে যাবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, বিদেশে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনায় বাংলাদেশি নাগরিকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। নিয়োগপ্রাপ্তদের আয় সংশ্লিষ্ট দেশের নীতিমালার আলোকে দেশে পাঠানোর উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত থাকা আবশ্যক। এ ছাড়া সেদেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থার—যেমন কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা মনিটরি অথরিটির—প্রত্যয়ন ও অনুমোদন ছাড়া কোনো কার্যক্রম চালানো যাবে না।
বিদেশে শাখা বা সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্থাপনের অনুমতির জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক ও আর্থিক সম্পর্ক থাকা বাধ্যতামূলক। তদুপরি, যেখানে ইতোমধ্যে অন্য কোনো বাংলাদেশি ব্যাংকের উপস্থিতি রয়েছে, সেখানে নতুন প্রস্তাবের যৌক্তিকতা নির্ভরযোগ্য তথ্য-উপাত্তসহ উপস্থাপন করতে হবে।
এক্সচেঞ্জ হাউস স্থাপনের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিদেশে প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা, প্রেরিত রেমিট্যান্সের পরিমাণ এবং উক্ত দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের আর্থিক লেনদেনের পরিসর বিবেচনায় নিয়ে অনুমোদন দেওয়া হবে।
প্রত্যেক বিদেশি শাখা বা সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ব্যয় সেই প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আয় থেকেই পরিচালনা করতে হবে। প্রতি আর্থিক বছর শেষে বিদেশে অর্জিত নিট মুনাফা দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি বাধ্যতামূলকভাবে নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, বিশ্ববাজারে দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিস্তৃত হওয়ায় ব্যাংকগুলো ২০০১ সাল থেকে বিভিন্ন দেশে শাখা, এক্সচেঞ্জ হাউস ও প্রতিনিধি অফিস খুলে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তবে বর্তমানে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, স্বচ্ছতা ও কার্যকর নজরদারির প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় এনে নতুন এই নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- লাভেলোর শেয়ার কারসাজি: তিন বিও অ্যাকাউন্টের লেনদেন স্থগিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- শেয়ারবাজারে ইতিহাস গড়লেন ‘ছাগল-কাণ্ডের’ সেই মতিউর
- একাদশে ভর্তি: চতুর্থ ধাপে আবেদনের সুযোগ
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- শেয়ারবাজারে হঠাৎ দরপতন, নেপথ্যে এনবিআরের চিঠি
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- ডিভিডেন্ড বৃদ্ধির আলোচনায় জ্বালানি খাতের ১১ কোম্পানি
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- মালিকানায় পরিবর্তন আসছে ইয়াকিন পলিমারের
- এক শেয়ারের জোরেই সবুজে ফিরল শেয়ারবাজার
- ডিভিডেন্ড দোলাচলে তথ্যপ্রযুক্তির ৮ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- সোনালী পেপারের কারসাজিতে জেনেক্স ইনফোসিসের পরিচালকদের জরিমানা
- চার কোম্পানির আর্থিক অনিয়মের দায়ে নিষিদ্ধ হচ্ছে ৬ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান