ঢাকা, রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২

পাকিস্তানের চেয়ে ২২ গুণ বেশি ক্ষতি ভারতের 

২০২৫ মে ১১ ১৬:০১:০৭
পাকিস্তানের চেয়ে ২২ গুণ বেশি ক্ষতি ভারতের 

ডুয়া ডেস্ক: ৭ মে রাত ১টা ৫ মিনিটে ভারতের বিমানবাহিনী (আইএএফ) ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামক একটি সামরিক অভিযানে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে নয়টি বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়। অভিযানের সময় ফ্রান্সের তৈরি দাসোঁ রাফায়েল যুদ্ধবিমান ব্যবহার করা হয়, যা স্কাল্প ইজি (স্টর্ম শেডো) দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও এএএসএম হ্যামার প্রিসিশন গ্লাইড বোমা দিয়ে সজ্জিত ছিল।

৭ থেকে ১০ মে পর্যন্ত ভারত পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিশ্লেষণ করতে স্কাইস্ট্রাইকার (ভারত-ইসরায়েল যৌথভাবে নির্মিত) ও ইসরায়েলি হ্যারপ ড্রোন ব্যবহার করে। এ ড্রোনগুলো শুধু হামলার উদ্দেশ্যে নয়, পাকিস্তানের রাডার ও ভূমি-থেকে-আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিক্রিয়া উদ্দীপ্ত করে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতা শনাক্ত করার জন্যও মোতায়েন করা হয়।

এই ঘটনার জবাবে পাকিস্তান সামরিকভাবে পাল্টা পদক্ষেপ নেয়। পাকিস্তান বিমানবাহিনী (পিএএফ) চীনের চেংদু জে-১০সি যুদ্ধবিমান দিয়ে প্রতিরক্ষা গড়ে তোলে, যা পিএল-১৫ দূরপাল্লার আকাশ-থেকে-আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ও কোরাল ইলেকট্রনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম বহন করছিল।

৭ মে রাত ১:০৫ থেকে ১:৩০ মিনিটের মধ্যে পাকিস্তান যুদ্ধক্ষেত্রে একটি নজিরবিহীন সাফল্য দাবি করে—তারা তিনটি দাসোঁ রাফায়েল যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে, যা ছিল এই যুদ্ধবিমানের প্রথম নিশ্চিত যুদ্ধক্ষেত্রের ক্ষয়ক্ষতি। পাশাপাশি পাকিস্তান ১২টি ভারতীয় ড্রোন ধ্বংসের দাবি করে, যা ইলেকট্রনিক কাউন্টারমেজার, আকাশ প্রতিরক্ষা কামান এবং স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের সমন্বিত ব্যবহারে সম্ভব হয়েছে।

অর্থনৈতিক বিপর্যয় ও ক্ষয়ক্ষতি

ভারতের জন্য এই সংঘাতের পরিণতি ছিল অত্যন্ত ব্যয়বহুল। ৮৭ ঘণ্টার এই দ্বন্দ্বে ভারতের পুঁজিবাজারে (নিফটি ৫০ ও বিএসই সেনসেক্স) ৮২ বিলিয়ন ডলারের মার্কেট ক্যাপ হারায়। উত্তর ভারতের আকাশপথ বন্ধ থাকায় প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যিক বিমান চলাচল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আইপিএল স্থগিত থাকায় বিজ্ঞাপন, সম্প্রচার স্বত্ব ও টিকিট বিক্রি থেকে ক্ষতি হয় আনুমানিক ৫০ মিলিয়ন ডলার। সামরিক খাতে সরাসরি ব্যয় হয় ১০০ মিলিয়ন ডলার এবং রাফায়েল যুদ্ধবিমান হারানোর ক্ষতি প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার। সরবরাহ চেইনের বিঘ্নে আরও ২ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে যাওয়ায় দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সবমিলিয়ে ভারতের মোট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় আনুমানিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার।

অন্যদিকে পাকিস্তানের ক্ষয়ক্ষতি তুলনামূলকভাবে অনেক কম। কেএসই-১০০ সূচক ৪.১% হ্রাস পেয়ে প্রায় ২.৫ বিলিয়ন ডলার হারায়। পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) স্থগিত হওয়ায় সম্প্রচার ও বিজ্ঞাপন খাতে ক্ষতি হয় ১০ মিলিয়ন ডলার। বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় ক্ষতি হয় ২০ মিলিয়ন ডলার। সামরিক খাতে খরচ হয় প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার। মোট ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৪ বিলিয়ন ডলার।

আধুনিক যুদ্ধের নতুন মানদণ্ড

এই ৮৭ ঘণ্টার সংঘাত শুধু আকাশে চলা যুদ্ধ নয়, এটি অর্থনীতি, বাজার ও আস্থা হারানোর যুদ্ধও বটে। প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির হিসাব তুলে ধরে আধুনিক যুদ্ধের প্রকৃত মূল্য। আজকের দিনে যুদ্ধের প্রভাব শুধু ক্ষেপণাস্ত্র বা যুদ্ধবিমানের ক্ষয়ক্ষতিতে সীমাবদ্ধ নয়; এটি শেয়ারবাজার, মুদ্রার মান, বিমান চলাচল, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আস্থার উপরও ভয়াবহভাবে আঘাত হানে।

তথ্য :দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে