ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বেড়েছে আমদানি-রপ্তানি
.jpg)
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটছে। আর এতে উভয় দেশের বাণিজ্যে বইছে সুবাতাস। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার এই বাণিজ্যে উভয় দেশেরই আমদানি ও রপ্তানি বেড়েছে।
অবশ্য শুধু বাংলাদেশ নয়, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও মালদ্বীপেও পাকিস্তানের রপ্তানি বেড়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক দ্য ডন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৯টি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে পাকিস্তানের বাণিজ্য ঘাটতি চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ৪৭.৫৫ শতাংশ বেড়ে ৪.৪৭৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ে ৩.০৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল।
বাণিজ্য বিশ্লেষকরা এর পেছনে চীন ও ভারত থেকে অনেক বেশি পরিমাণে আমদানিকে দায়ী করেছেন। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে চীন থেকে আমদানি সবচেয়ে বেশি বেড়েছে, অন্যদিকে একই দেশে রপ্তানিও কমেছে পাকিস্তানের।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, গত বছরের তুলনায় আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় পাকিস্তানের পণ্য রপ্তানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। মূলত এই তিন দেশে পাকিস্তানের রপ্তানির এই প্রবৃদ্ধি চীনে দেশটির রপ্তানি হ্রাসের প্রভাবকে অনেকাংশেই কমিয়ে দিয়েছে বা ভারসাম্যপূর্ণ করেছে।
পাকিস্তান থেকে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কায় পণ্য রপ্তানি চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মাসে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখেছে বলে জানিয়েছে দ্য ডন। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান) সংকলিত তথ্য অনুসারে, এখনও অন্যান্য দেশে বিশেষ করে চীনে পাকিস্তানি পণ্য রপ্তানি হ্রাস অব্যাহত রয়েছে।
আফগানিস্তান, চীন, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভারত, ইরান, নেপাল, ভুটান এবং মালদ্বীপ — এই ৯টি দেশে চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানের রপ্তানির মোট পরিমাণ ৫.৯৯ শতাংশ বেড়েছে। দেশগুলোতে চলতি বছর ১.৯৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে পাকিস্তানের রপ্তানি, যা আগের বছরে ছিল ১.৮৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এর বিপরীতে এসব দেশ থেকে পাকিস্তানে পণ্য আমদানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩১.৮ শতাংশ বেড়ে ৬ দশমিক ৪৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
এদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে বাংলাদেশে পাকিস্তানের রপ্তানি বেড়েছে ২৯.৭৬ শতাংশ। মূলত জুলাই-নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসে বাংলাদেশে রপ্তানির পরিমাণ ৩১৩.৯৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২৪১.৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
অন্যদিকে পাকিস্তানেও বেড়েছে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে রপ্তানি বেড়েছে ১৮ শতাংশ। জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে রপ্তানির পরিমাণ ৩০.৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২৬.০৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ঢাকায় হাসিনা সরকারের পতনের পর বাণিজ্যের এই বৃদ্ধি ঘটেছে বলেও জানিয়েছে দ্য ডন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- শেয়ার কারসাজিতে ৫ বিনিয়োগকারীকে ১৩ কোটি টাকা জরিমানা
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- কৃত্রিম চাপে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা, সহসা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- এক কোম্পারি অস্থিরতায় শেয়ারবাজারে তোলপাড়
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ইস্টার্ন হাউজিং
- এক শেয়ারের জোরেই সবুজে ফিরল শেয়ারবাজার
- একাদশে ভর্তি: চতুর্থ ধাপে আবেদনের সুযোগ
- শেয়ারবাজারে প্রসারিত হচ্ছে টেকসই বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত
- মালিকানায় পরিবর্তন আসছে ইয়াকিন পলিমারের
- ধস কাটিয়ে অবশেষে শেয়ারবাজারে উত্থানের স্রোত
- রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন চালুর পরিকল্পনা ডিএসইর