ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২
পশ্চিমবঙ্গে তসলিমার নাটক নিষিদ্ধ করলেন মমতা
.jpg)
ডুয়া ডেস্ক: নির্বাসিত বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিনের বিতর্কিত নাটক ‘লজ্জা’ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এই লেখিকা নিজেই।
স্ট্যাটাসে তসলিমা নাসরিন লিখেছেন, মমতা বন্দোপাধ্যায় আজ আমার লজ্জা উপন্যাস অবলম্বনে বিশ্বজিৎ সিংহ রচিত ও পরিচালিত লজ্জা নাটকটি পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ করলেন। উত্তর ২৪ পরগণার গোবরডাঙ্গায় আর হুগলির পাণ্ডুয়ার নাট্যউৎসবে লজ্জা নাটকটি মঞ্চস্থ হওয়ার কথা ছিল। দু'মাস যাবৎ বিজ্ঞাপন যাচ্ছে নাট্যউৎসবের। আর আজ, বলা নেই কওয়া নেই, হঠাৎ মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পুলিশ এসে জানিয়ে দিল, সব নাটক মঞ্চস্থ হবে, শুধু লজ্জা ছাড়া। নবপল্লী নাট্যসংস্থা দিল্লিতে তিনবার নাটকটি মঞ্চস্থ করেছে। তিনবারই প্রেক্ষাগৃহ পূর্ণ ছিল।
তিনি আরও লেখেন, পুলিশ জানিয়েছে লজ্জা মঞ্চস্থ হলে মুসলিমরা নাকি দাঙ্গা বাঁধাবে। মুসলিমরা দাঙ্গা বাঁধাবে এই অজুহাতে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে লেখা আমার 'দুঃসহবাস' নামের মেগাসিরিয়ালটির সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছিলেন রাজ্য সরকার। লজ্জার ঘটনা বাংলাদেশের। কী কারণে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমরা বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে দাঙ্গা বাঁধাবে, আমার বোধগম্য নয়। মুসলিমরা দাঙ্গা বাঁধাবে এই অজুহাতে আমাকে এক সময় পশ্চিমবঙ্গ থেকেও বের করে দেওয়া হয়েছিল।
তসলিমা বলেন, যারা দাঙ্গা বাঁধাতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে, শিল্প সাহিত্যকে নিষিদ্ধ করা হয় কেন? শিল্পী সাহিত্যিকের কন্ঠরোধ করা হয় কেন? এই প্রশ্নটি আর কত যুগ একা একা আমিই করে যাব? আর কারও দায়িত্ব নেই অন্যায়ের প্রতিবাদ করার?
ওই পোস্ট দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর আরও একটা পোস্ট করেন তসলিমা নাসরিন। সেখানে তিনি লেখেন, মানবতা, উদারতা এবং অসাম্প্রদায়িকতার পক্ষে লেখা আমার তথ্যভিত্তিক উপন্যাস ''লজ্জা'' অবলম্বনে যে নাটকটি পশ্চিমবঙ্গে মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছিল, সেটিকে দাঙ্গা বাঁধতে পারে এই অজুহাতে মঞ্চস্থ হতে বাধা দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। অথচ ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, দাঙ্গা হাঙ্গামার বিরুদ্ধে, লজ্জা একটি তীব্র প্রতিবাদ।
তসলিমা বলেন, আমার লজ্জা নামের গ্রন্থটি কিন্তু গত ৩০ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে প্রকাশিত হচ্ছে। গ্রন্থটি বরাবরই বেস্ট সেলার লিস্টে। আনন্দ পারবিলশার্সের এই গ্রন্থটির প্রকাশ তো নিষিদ্ধ হয়নি! এটিকেও নিষিদ্ধ করুন মাননীয় মূখ্যমন্ত্রী। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষে লেখা এই গ্রন্থটিকে নিষিদ্ধ না করে এই গ্রন্থ অবলম্বনে নির্মিত নাটক নিষিদ্ধ করাটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।
লেখিকা বলেছেন, যাঁরা লজ্জা নাটকটি দেখতে চেয়েছিলেন, বা যাঁরা নাটকটির নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে চান, তাঁরা লজ্জা গ্রন্থটি কিনুন এবং পড়ুন। এবং অন্যকে পড়তে দিন।
প্রসঙ্গত, তসলিমা নাসরিনের লেখা ‘লজ্জা’ উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে। কিছুদিনের মধ্যেই বাংলাদেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় এই বইটি। সেই উপন্যাস থেকেই তৈরি করা হয়েছিল ‘লজ্জা’ নাটক। যেটিও নিষিদ্ধ ঘোষণা করল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- হলে ঢাবি ছাত্রীর হঠাৎ অসুস্থতা, হাসপাতালে মৃত্যু
- মার্জিন ঋণে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না
- ‘পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস’
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে পাঁচ শেয়ার
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- ঢাবির হলে 'গাঁ’জার আসর', চার শিক্ষার্থীকে আটক
- ১২ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৯ খবর
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘লাল তালিকা’য় ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠান
- দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- ভালুকায় প্রথম পাঁচতারা হোটেল চালু করছে বেস্ট হোল্ডিংস
- বেক্সিমকো-বেক্সিমকো ফার্মাসহ চার ব্যক্তি-এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা-সতর্ক
- সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কিনছে আরব আমিরাতের কোম্পানি
- বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের নতুন কমিটির অভিষেক শনিবার